মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশতিয়াক আহমদ কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিবদর্শন করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সাফারি পার্ক পরিদর্শনকালে তিনি পাঁচটি বন মোরগ অবমুক্ত করেন। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা পাঁচটি বন মোরগ সাফারি পার্কে ছাড়া হয়। সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড বিস্ট, জলহস্তী, কুমির, বাঘ, সিংহসহ বিভিন্ন প্রাণীর বেস্টনী পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গাছ-পালার মাঝে সর্দার নির্ধারণে কয়েক’শ বানরের পরামর্শ বৈঠক দেখে মুগ্ধ হন তিনি।
পরিবেশ ও বন সচিব কক্সবাজার শহরে যাওয়ার পথে সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন-প্রধান বন সংরক্ষক শামসুল আলম চৌধুরী, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মকর্তা গোলাম মওলা, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কেরামত আলী, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুল আজম ছাড়াও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন সাফারি পার্কের ফরেস্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
পরিবেশ ও বন সচিব ইশতিয়াক আহমেদ কক্সবাজার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে ক্ষতিগ্রস্থ বন এলাকার খোঁজ নেয়া ছাড়াও কক্সবাজার উত্তর-দক্ষিণ বনবিভাগের সামাজিক বনায়নে উপকারভুগি সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করবেন।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মকর্তা গোলাম মওলা এক প্রশ্নোত্তরে বলেন, গাজীপুরের সাফারি পার্ক রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী। তাই সেখানকার উন্নয়ন নজরে পড়ছে। দেশের প্রথম চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকৃতিগতভাবেই অপরুপ। এরপরও এই পার্কে আরো উন্নয়ন ঘটাতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।
You must be logged in to post a comment.