গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা গত এক মাসে প্রায় ২১ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি তথ্য সুত্রে দেখা যায়, ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ২০ কোটি ৯২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩শ ৫২ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে বেশীর ভাগ হচ্ছে ইয়াবা। গত এক মাসে মাদকসহ ৩৮ জন অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি। মাদক আইনে মামলা হয়েছে ১২৯টি।
এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধে টেকনাফে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার চলমান অভিযানের মধ্যেও মাদক পাচার অব্যাহত থাকায় সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই বলছেন চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে সামনে রেখে বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও কিভাবে মাদক কারবারীরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেও অত্র এলাকার চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত মাদক কারবারীরা এখনো সক্রিয়। তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে আসছে না কেন?
তথ্য সুত্রে আরো দেখা যায়, টেকনাফ ২বিজিবি সৈনিকেরা গত এক মাসে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৮পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। এছাড়া ১ হাজার ৬শত ক্যান বিদেশী বিয়ার, ৩৪ বোতল বিদেশী মদ, ৩শ লিটার চোলাই মদ, জব্দ করা হয়। উক্ত অভিযানে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯শ টাকার অন্যান্য চোরাইপণ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এক মাসের উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও চোরাইপণ্য গুলোর সর্বমোট বাজার মূল্য ২০ কোটি ৯২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
এই ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, দূর্গম ও অরক্ষিত ৫৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ বিজিবি সদস্যরা। তারপরও মাদক ও চোরাচালান দমনে বিজিবি সদস্যরা সর্বদা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে টেকনাফ সীমান্তে থেকে মাদক নির্মুল করার জন্য সরকার কঠোর ভূমিকা হাতে নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে সাহসী ভূমিকা পালন করছে অত্র উপজেলায় দায়িত্বরত র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। অথচ আইনশৃংখলা বাহিনীর এই কঠোর অভিযানের মধ্যেও ইয়াবা পাচার অব্যাহত থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে বলছে যতদিন ইয়াবা কারবারের মূলহোতা ও তালিকাভুক্ত গডফাদাররা আইনের আওতাই না আসবে ততদিন অত্র এলাকা থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।
You must be logged in to post a comment.