সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সাংবাদিক কিয়াও সো ওর (বামে) এবং ওয়া লোন। ছবি: বিবিসি

মিয়ানমারের একটি আদালত ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্টস (রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন) লঙ্ঘনের দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এই দুই সাংবাদিক মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন।

৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন জেলা জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করে। এ সময় সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওর (২৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়।

বিচারক ইয়ে লইন তার রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ওর গোপন তথ্য সংগ্রহের সময় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভেঙেছেন। তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো এবং ইতোমধ্যে হাজতবাসের সময় তাদের সাজা থেকে বাদ যাবে।’

রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মিয়ানমারের জন্য, রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওর জন্য এবং বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমের জন্য আজ একটি দুঃখের দিন।

এই দুই সাংবাদিক বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন। আর মামলার বিচারের সময় আদালতকে তারা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রয়টার্স লিখেছে, ওই দুই সাংবাদিককে ধরার জন্য ওই ঘটনা সাজানো হয়েছিল। মামলার বিচারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যে বিষয়টি ওঠে এসেছিল।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক ওয়া লোন ২০১৬ সালে রয়টার্স যোগ দেন। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর কিয়াও সো ও গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

গ্রেফতার হওয়ার আগে ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় এক গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন।

আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেও মিয়ানমার সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

বরং চলতি বছরের ৯ জুলাই এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ এনেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তাকে হমকির মুখে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্য ও নথি সংগ্রহ করেছেন।

সূত্র:ইতি আফরোজ-priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/06/Missile-Iran.jpg

শব্দের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি দ্রুতগামী ইরানের হাইপারসনিক

‘ফাত্তাহ’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে আইআরএনএ। অনলাইন ডেস্ক : ইরান তাদের প্রথম হাইপারসনিক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/