গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় মাদকপাচার প্রতিরোধ করার সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং কারবারীদের নির্মুল করার জন্য মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। অথচ অত্র উপজেলায় দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের এত কঠোরতার মধ্যেও মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে এবং অভিনব কায়দায় মিয়ামার থেকে মাদকের চালান নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করা অব্যাহত রেখেছে।
সেই ধারাবাহিকতার সুত্র ধরে টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের হাতে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে ইয়াবার চালান।
বিজিবির তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজিবি সদস্যরা একদল মাদক পাচারকারীদের ধাওয়া করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১লক্ষ, ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। কারন অপরাধীরা বিজিবির চোঁখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবির আওয়তাদ্বীন হ্নীলা দমদমিয়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদে জানতে পারে মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা মিয়ানমার হতে একটি বড় ইয়াবার চালান নিয়ে টেকনাফ নাফনদী হয়ে অনুপ্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দমদমিয়া বিওপির বিজিবি একটি বিশেষ টহল দল একটি ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে নাফনদীতে অভিযানে যায়। এরপর নাফনদীর অন্তর্গত জইল্যারদ্বীপের উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে ২/৩জন ব্যক্তিকে অনুপ্রবেশ করতে দেখে বিজিবি তাদেরকে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দেয় এবং চ্যালেঞ্জ করে তাদেরকে ধাওয়া করে। অবশেষে ব্যাগ ভর্তি ইয়াবার চালানটি ফেলে দিয়ে পাচারকারীরা কৌশলে বিজিবির চোঁখ ফাঁকি দিয়ে জইল্যার দ্বীপ এলাকার গহীন জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ইয়াবা ভর্তি একটি কালো ব্যাগের ভিতর থেকে ১লক্ষ, ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি। এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান।
You must be logged in to post a comment.