মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের উপর হামলা চালিয়েছে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও বহিরাগত লোকজন। এতে বিজয়ী দলের পাঁচ খেলোয়াড় আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা শেষে বাড়ী ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলেন- রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মো.জিসান, ১০ম শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র সাকিবুল ইসলাম, ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নবীর হোসেন, ১০ম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র কাইছার ও ৮ম শ্রেণী ছাত্র আজম উদ্দিন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে মো.জিসান ও সাকিবুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
রাজাখালী এয়ার আলী খান বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার গ্রীষ্মকালীন স্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলার নির্ধারিত দিন ছিল। বিকেলে উপজেলা স্টেডিয়ামে এ খেলায় আমার স্কুলের ফুটবল টিমের সাথে পেকুয়া জিএমসি ইন্সটিটিউশনের ফুটবল টিম মুখোমুখি হয়। খেলায় দুইদল একটি করে গোল করে। পরে ট্রাইবেকারে দুটি গোল ঠেকিয়ে জয়ী হয় আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে খেলা শেষে বাড়ী ফেরার পথে শিক্ষার্থীরা চৌমুহনী স্টেশনে পৌঁছালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করে।
রাজাখালী এয়ার আলী খান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, চৌমুহনী স্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য গাড়ি রাখা ছিল। শিক্ষার্থীরা গাড়িতে ওঠতে যাবার পথে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী তাদের ধাওয়া দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার জন্য একটি বসতঘরে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবরুদ্ধ করে তাদের বেধড়ক পিটানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় খেলার ভেন্যু পরিবর্তন করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আমরা খেলার আগে লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তিনি সেটি আমলে নেননি। জিএমসি স্কুলের পাশের ভেন্যুটি পরিবর্তন করা হলে হয়তো অপ্রীতিকর এ ঘটনা এড়ানো যেত।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাসান বলেন, হামলার বিষয়টি আমি জানতাম না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.