মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
বৈশাখের প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার জনজীবন। তীব্র গরমের পাশাপাশি ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন চরম অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মাঠ-ঘাট, পুকুর-জলাশয় শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের মাঠ শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কৃষকরা চলমান ইরি-বোরো মৌসুমে ঘরে তুলতে পারছেনা তাদের ফসল। অনেক পুকুরের পানি, জলাশয় ও মৎস্য ঘেরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষীরা চরম বেকাদায় পড়েছে। অতিরিক্ত গরমের প্রভাবে বাড়ছে রোগব্যাধি। দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি না হওয়ায় রৌদ্রের তীব্রতা বেড়ে গেছে আরো।
এদিকে, উপজেলার পৌরশহর থেকে শুরু করে পাড়া-গাঁয়ে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং সীমাহীন আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র তাপদাহ অন্যদিকে লোডশেডিং এর ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে নাভিশ্বাস উঠেছে।
সরজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও হামসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ফলে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের কারণে বেশী বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও কৃষক। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। ছোটছোট শিশুরা দলবেঁধে পুকুরে ও নদীতে নেমে পড়ছে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে। অসহনীয় তীব্র গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মোহাম্মদ ছাবের জানান, তীব্র তাপদাহের কারণে মানুষের মাঝে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে, তীব্র গরমে একটু সচেতন হলে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চললে এই রোগ থেকে দুরে থাকা যায়।
You must be logged in to post a comment.