মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
“সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমূহে ভৌত অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কার, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসে” প্রকল্প গ্রহণ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রকল্পের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এনজিও সেভ দ্য চিলড্রেন। মাঠ পর্যায়ে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে স্থানীয় এনজিও গ্রীনহিল, রাঙ্গামাটি।
পরিচিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। এছাড়া অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা, সেভ দ্য চিলড্রেন এর আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের সিনিয়র ম্যানেজার কিউ.ই দিলদার মাহমুদ, সেভ দ্য চিলড্রেনের শিক্ষার মাধ্যমে মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়ন (ইজিই) প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফোরকানুল হক, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী সহ প্রমূখ। এছাড়া সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতে পরিচয় পর্ব শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সেভ দ্য চিলড্রেন এর আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পের সিনিয়র ম্যানেজার কিউ.ই দিলদার মাহমুদ। তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস এবং ভারী বর্ষণজনিত বন্যাসহ বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়কালে আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয়ের সুযোগ এবং শিক্ষার ধারাবাহিকতা উন্নয়নের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র (এমপিসিএস) প্রকল্প কাজ করবে।
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে মাধ্যমে প্রকল্পের যাবতীয় পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলড্রেনের শিক্ষার মাধ্যমে মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়ন (ইজিই) প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফোরকানুল হক। তিনি জানান, প্রকল্পটির উদ্যোক্তা সেভ দ্য চিলড্রেন। এতে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি। প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে স্থানীয় এনজিও গ্রীনহিল। প্রকল্পের কর্ম এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
লামা উপজেলায় এই প্রকল্পের কাঙ্খিত জনসংখ্যা ৮ হাজার ৪৭০ জন। ২ মে ২০১৯ হতে শুরু হয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম ১ মে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলবে। দুই বছর ব্যাপী এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৯২০ টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, এলজিইডি, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
You must be logged in to post a comment.