বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইলের আইডেন্টিটি বা আইএমইআই নম্বর নিয়ে স্বয়ংক্রিয় তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাজারে নিম্নমানের ও নকল মোবাইল সেটের প্রবেশ ঠেকানো যাবে। সেইসাথে রোধ করা যাবে বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকিও। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি বলছে, এ তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে মোবাইল মালিককে সরাসরি সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
বিটিআরসি’র তথ্যমতে, দেশের মানুষ বর্তমানে প্রায় পনের কোটি মোবাইল ব্যবহার করে। প্রতিবছর আমদানি হয় তিন কোটিরও বেশি মোবাইল সেট। এরমধ্যে ২০ শতাংশের মত মোবাইল সেট আসছে ভ্যাট ফাঁকিতে অবৈধ উপায়ে, যার বেশিরভাগই নিম্নমানের ও নকল। তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১৫ থেকে ১৭ সংখ্যার একটি স্বতন্ত্র নম্বর আইএমইআই এর মাধ্যমে প্রতিটি মোবাইল সেট আলাদাভাবে সনাক্ত করা যায়। এবার এ নম্বর ব্যবহার করে দেশের মোবাইল সেটের ওপর নজরদারি বাড়াতে, বিটিআরসি হাতে নিয়েছে এনওসি-অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই-নামে একটি প্রকল্প। যেখানে যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের মোবাইল আমদানিকারীদের সংগঠন।
বিএমআইপিএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিটিআরসিকে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সরবরাহের ব্যবস্থা করছি। বিটিআরসি ফার্স্ট ফেইজে ড্যাটাকে রিস্টোর করবে। ফেইজ টু’তে তারা অলরেডি অপারেটরদের সাথে কথা বলছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা প্রডাক্টগুলোকে কিভাবে বন্ধ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করবে।’
অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, ‘প্যাটেন্টটা ভায়োলেন্ট করে কেউ ক্লোন তৈরি করে বা রিফাবলিশড করে নিয়ে আসলো তাতে করে মূল ম্যানুফ্যাকচারাও কিন্তু লুজার হচ্ছে। তারপরে আমি উইজার হিসেবে জানছি না যে, আমি আসল সেট ব্যবহার করছি নাকি নকল সেট ব্যবহার করছি। এই ভারনারাবিলিটির জায়গাগুলো হয়তো নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
আইএমইআই প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার -এনইআইআর নামে আরেকটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলবে বিটিআরসি। যেখানে নির্দিষ্ট হেল্প লাইনে আইএমইআই নম্বর এসএমএস করে ক্রেতা বা ব্যবহারকারী জানতে পারবেন তার মোবাইল সেটটি বিটিআরসিতে নিবন্ধিত কিনা।
বিটিআরসির এসেবা চালু হলে চুরি হওয়া মোবাইল সেট অকেজো করে দিতে পারবেন তার মালিক সেইসাথে মোবাইলের সূত্র ধরে সংঘটিত অপরাধ সনাক্ত করা যাবে দ্রুত ।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘একটা হ্যান্ডসেটের মালিক দুইজন হতে পারে না। এই রেস্ট্রিকশনগুলো যখন ইমপোজ করে দিবো তখন কিন্তু এটা প্রচণ্ড সুলক্ষ হবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য। তখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরো ভালোভাবে তদন্ত করতে পারবে।’
চলতিবছরের শেষ নাগাদ বিটিআরসির স্বয়ংক্রিয় এ তথ্যভাণ্ডারের প্রথমধাপের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.