ভারতে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৬০ ছাড়িয়েছে। দেশটির আসাম ও বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পানিবন্দি এক কোটির বেশি মানুষ। নতুন করে পাঞ্জাবে বন্যা দেখা দিয়েছে। নেপালেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ ছাড়িয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় চীনেও কমেনি বন্যার প্রকোপ। তুরস্কে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ ৬ জন।
ভারতের বিহারে বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, আর গৃহহীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১২ জেলার প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
বিহারের মতো করুণ অবস্থা আসামেও। নদ-নদীর পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে তিন হাজারের বেশি গ্রামে। মানুষের পাশাপাশি মারা গেছে বহু বন্য প্রাণী। বিহারের মতো এ রাজ্যেও নৌকায় ভাসমান মেডিকেল টিম কাজে নেমেছে। তারা বন্যা আক্রান্ত মানুষকে সেবা দিচ্ছে।
এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা এখানে চিকিৎসা দিতে এসেছি। বন্যার মধ্যেই এ শিশুর জন্ম হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, বিতরণ করছি ওষুধ।’
নতুন করে পাঞ্জাবের সাত জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে নেপালেও। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে চলছে অভিযান। অনেকস্থানে জমাট বাঁধা পানি কিছুটা কমায় বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
চীনের শানজি, গুয়াংজি, সিচুয়ানসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। অনেক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
এদিকে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সূত্র:somoynews.tv- ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.