সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / মনোবল শক্ত করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন

মনোবল শক্ত করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২শ’ কোটি টাকার নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা সংবলিত বোতাম টিপে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

জীবন ও জীবিকার তাগিদে কিছু জায়গায় নির্দেশনা শিথিল করা হয়েছে জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্ক থেকে সংক্রমণ এড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘করোনায় হতদরিদ্র্যদের নগদ সহায়তা প্রদান’ কার্যক্রম উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।

সরকার প্রধান জানান, বেকারত্ব দূর করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায়দের সহযোগিতায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এবং ধান কাটায় অংশ নিয়ে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে। সব ধরনের পতিত জমিতে যে কোনো ধরনের ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। সরকার সেই চেষ্টা করছে। আপনারা মনোবল শক্ত করে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অনেক বড় পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই পরিকল্পনা সীমিত করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার যেসব খাতে অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব তা করে সেই অর্থ অসহায়দের সহায্যে কাজে লাগানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে প্রয়োজনটা অনেক বেশি। মানুষদের ক্ষুধার জ্বালাটা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমন একটি অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলা কিন্তু কোনো দেশই পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকে আমরা দেখছি, এই করোনাভাইরাস শক্তির কাছে সারেন্ডার করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ৮.১ অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় একটি অদৃশ্য শক্তির আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এই যে একটি অদৃশ্য শক্তির হঠাৎ আক্রমণ এবং এর ফলে কিন্তু সবাই বিপর্যস্ত। আমাদের ভূখণ্ড ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনীতি সচল রাখা উচিত। এ জন্য আমাদের রয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশে যেভাবে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছেন এর তুলনায় আমরা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা- বিভিন্ন ভাতাগুলো আছে। সে ভাতাগুলো অব্যাহত থাকছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি। এ রকম বিভিন্ন যে ভাতা, সেগুলো আমাদের চালু থাকবে। এদের বাদ দিয়ে এবং ১০ টাকার রেশন কার্ড বাদ দিয়ে বাকি যারা রয়ে গেছেন তাদের জন্য কিছু করা- এটাই আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তাছাড়া ভিজিডি, ভিজিএফ’র মাধ্যমে খাদ্যশস্য পান। আমাদের মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সকলে সেই সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। যারা সহযোগিতা পান তাদের বাইরে যারা এখন রয়ে গেছেন, যারা নিজে কিছু কাজ করে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের কথা চিন্তা করেই, আমরা অন্তত যে টাকাটা সংগ্রহ করতে পেরেছি, এখানে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আমরা আড়াই হাজার টাকা করে জনপ্রতি এককালীন নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জানা গেছে, করোনা প‌রি‌স্থি‌তির কারণে মে এবং জুন- এই দুই মাস ৫০ লাখ প‌রিবার পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক‌্যাশের মাধ‌্যমে প‌রিবারগু‌লোর কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। এ জন্য এরইমধ্যে এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেয়া হবে।

উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই সহায়তাপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ।

 

সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

চলতি বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন https://coxview.com/islam-zakat-2/

চলতি বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  অনলাইন ডেস্ক :এ বছর দেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/