সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এবং গাজার

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এবং গাজার

অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় গত কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাতে বিরতি টানতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ গ্রুপ এবং ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের মধ্যে মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু এবং হামাসের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। বিশ্বের নেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গত কয়েকদিনের লড়াই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার ইসরায়েল ব্রেকিং ডন বলে একটি অপারেশন শুরু করেছিল।

ফিলিস্তিনের বহু অঞ্চলে তারা হামলা চালাতে শুরু করেছিল। যার জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক জিহাদের নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। তার মধ্যে কম্যান্ডার খালেদ মনসুর এবং তায়সির আল-জাবারিও আছেন। এই দুই ব্যক্তি ইসলামিক জেহাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন।

অন্যদিকে ফিলিস্তিন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের আক্রমণে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু শিশু এবং নারী আছে। যদিও ইসরায়েলের দাবি, ইসলামিক জিহাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেটের আঘাতেই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিশর শান্তিপ্রস্তাব দেয়। তাদের মধ্যস্থতাতেই রোববার রাতে দুই দেশের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে যুদ্ধবিরতি চালু হয়েছে। এর ফলে অন্তত কিছুদিন লড়াই বন্ধ থাকবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি।

জাতিসংঘ, অ্যামেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাম্প্রতিক লড়াই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এই লড়াইয়ে গাজার হামাসের ভূমিকা সেভাবে ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। লড়াই হচ্ছিল মূলত ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলের।

তবে হামাস জানিয়েছে ঘটনায় অন্তত ৩১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বহু মানুষই গাজা স্ট্রিপের। এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার ফলে গাজা এবং ইসরায়েলের সীমান্তে যে চেকপোস্ট আছে, তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় ইসরায়েলের দুইজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে ইসরায়েলের প্রশাসন জানিয়েছে। ইসলামিক জিহাদ রকেট হামলা শুরু করার পর বেসামরিক মানুষদের শেল্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

গাজার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতি মিনিটে আহত ব্যক্তিরা আসছিলেন হাসপাতালে। তাদের থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যার ফলে আলোও থাকছে না। সবমিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় শক্তিশালী কমিশন গঠন করার প্রস্তাব -এমএএফ’র সেমিনারে

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। নানা কারণে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/