বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘ঘাটের কথা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত এই নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, শতাব্দী ওয়াদুদ, ফাতেমা তুজ জোহরা প্রমুখ। নাটকটি বাংলাভিশনে প্রচার হবে ৮ মে রাত ৯টা ৫মিনিটে। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কাওনাইন সৌরভ।
গল্পে দর্শক দেখবেন, আট বছর বয়সে কুসুমের বিবাহ হয়। স্বামী দূরে শহরে চাকরি করেন। ফলে বছরে দু-চারবার ছুটি পান। কিন্তু কপালের ফের, এক বছর শেষ হতে না হতেই কুসুম বিধবা হয়ে আবার বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর কেটে যায় দশ বছর। গ্রামে এক সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে। অবস্থান নেন কুসুমদের বাড়ির ভাঙ্গা মন্দিরে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতে থাকে সন্ন্যাসীর কাছে। কোনোদিন ভগবদগীতার ব্যাখ্যা করেন, কোনোদিন শাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন। গ্রামের অনেকেই মনে করে এই সন্ন্যাসী হলো কুসুমের ছোটবেলার খেলার সাথী চাট্টুর্জে বাড়ীর ছোট দাদাবাবু। মন্দিরের পাশেই বড় শান বাঁধাই করা ঘাটে একদিন সন্ধ্যাবেলা কুসুমের সাথে সন্ন্যাসীর দেখা হয়। একে অপরকে চিনতে না পারলেও তাদের ভেতরে এক অজানা টানাপোড়ন শুরু হয়।
একদিন কুসুম স্বপ্ন দেখে যে- এই সন্ন্যাসীই কুসুমের ছোটবেলার হৃদয়ের স্বামী। ফলে কুসুম আর সন্ন্যাসীকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছিল না। ধীরে ধীরে কুসুম অসুস্থ হয়ে পড়ে। কুসুমের মনের এ সমস্ত কথা যখন সন্ন্যাসী জানতে পারে সেই মুহুর্তেই সন্ন্যাসী সেই স্থান ত্যাগ করে। সন্ন্যাসী বিদায় নেবার সময় কুসুমকে বলে আসে যে- এই জোড়া-তালির সংসারে তার আর ফেরা হবে না। সুতরাং কুসুমকে এ সব ভুলে যেতে হবে। কুসুম এসব ভুলবে কী করে। কুসুম ধীরে ধীরে ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে ক্রমশ নিচে নামতে থাকে।
আত্মহননের মধ্য দিয়েই তার হৃদয়ের প্রেম টিকিয়ে রাখতে চায়। এখানেই গল্পের ইতি। কিন্তু এ নাটকে আমরা দেখতে পাবো, আত্মহনন নয় বরং জীবনের মধ্য দিয়েই প্রেম টিকিয়ে রাখার এক অপার সম্ভাবনা।
সূত্র:কুদরত উল্লাহ/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.