এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলীতে রাস্তা খুঁড়ে সংস্কার কাজ না করায় রাজঘাটবাসীকে মরণ দশায় ভোগতে হচ্ছে। পাশাপাশি হুমকির মুখে হাজার হাজার একর লবণ চাষাবাদ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পোকখালীর উত্তর গোমাতলী (রাজঘাট) এলাকার চলাচল রাস্তাটি কেটে খাঁন খাঁন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। রাজঘাটের আজিম পাড়া, চরপাড়া, গাইট্টাখালী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্যা শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৭/৮ হাজার সাধারণ লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। তবে বিগত দু’বছর পূর্বে এই রাস্তাটি টেন্ডার হয়। পরে ঠিকাদার রাস্তা খুঁড়ে কাজ না করে চলে যায়। গেল বছর রোয়ানো আতংকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
লবণ চাষ করার রক্ষার্থে এলাকাবাসী স্ব-উদ্যেগে নিজেদের অর্থায়নে অযন্তে- অবহেলায় ফেলে চলে যাওয়া রাস্তাটি কোন ভাবে নির্মাণ করে। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে ঐ সড়কটি পুনরায় টেন্ডার হয়। বর্তমানে এই সড়কটি কেটে বক্স করে ফেলে চলে যায় ঠিকাদার। মাস ধরে নেই রাস্তার কাজকর্ম। এই নিয়ে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছেন বলে জানান দেলোয়ার, আবদু রহিম সহ সচেতন এলাকাবাসী। যার ফলে হাজার হাজার একর লবণ চাষাবাদ যে কোন মুহুর্তে বিলিন হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে লোকজনে চলাচল অনেকটা দুর্বিসহ।
৩ এপ্রিল উপরোক্ত স্থানে পরিদর্শন করতে গেলে এমনচিত্র চোখে পড়ে। তবে স্থানীয় রাজঘাট এলাকার জমিদার আবদু রহিম, আবু হান্নান, নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসীর মতে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গোমাতলী রাজঘাটবাসীকে ভোগতে হবে মরণ দশায়। এমনকি জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে প্রয়োজনীয় কাজকর্মে আসা যাওয়া করতেও নিদারুন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যেতেও অনিহা প্রকাশ করছে।
অপরদিকে এলাকার সচেতন যুবক পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার জানান- আর কতকাল আমরা পোকখালীর গোমাতলী রাজঘাটবাসী অযত্নে অবহেলায় দিন পার করব? এত কষ্ট মেনে নেওয়া যায় না। এ এলাকার লোকজন চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দ্রুত কাজ শেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার লোকজন সহ লবণ চাষাবাদ রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান।
You must be logged in to post a comment.