সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত হতে পেরে খুশি

রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত হতে পেরে খুশি

 

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিপীড়ন ও চরম মানবাধিকার লঙ্গনের পর এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। সে দেশে তারা নাগরিকত্ব পায়নি। এ দেশে এসে নিবন্ধনের কার্ড পেয়ে তারা আনন্দিত। গলায় রোহিঙ্গা কার্ড ঝুলিয়ে চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন। গত দুই মাসে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের ১২ টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিবন্ধন হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৫১ জন রোহিঙ্গার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ টি ক্যাম্পে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এ নিবন্ধন করা হচ্ছে। নিবন্ধন কর্মকর্তাদেও সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজ করছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

সরেজমিন জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদবধতিতে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে কাজের গতি একটু ধীর হলেও পরে তা বাড়ে। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কাজে নিয়োজিত পলাশ বড়ুয়া বলেন, প্রথম দিন ২০ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তা ছাড়িয়েছে ৫ লাখে। এভাবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে সব রোহিঙ্গার নিবন্ধন কাজ। নিবন্ধনকারীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে পরিচয়পত্র।

বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, সোমবার সারা দিন মোট ৭ টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৯২৪ রোহিঙ্গা নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে ১ নং কুতুপালং ক্যাম্পে ১০১৬ জন, পুরুষ ও ১১৯৫ জন নারী, ২ নং কুতুপালং ক্যাম্পে ১৩১৪ জন পুরুষ ও ১৪৪২ জন নারী নিবন্ধন করে। এছাড়া নয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪৯৫ জন পুরুষ ও ৬৮৪ জন নারী। ১ নং থাইংখালী ক্যাম্পে ৯৪৬ জন পুরুষ ও ১১৬৭ জন নারী। ২নং থাইংখালী ক্যাম্পে ৬৮২ জন পুরুষ ও ৬৬৭ জন নারী। ১ নং বালুখালী ক্যাম্পে ১৪৪২ জন পুরুষ ও ১৪৩৯ জন নারী এবং শামলাপুর ক্যাম্পে ৫৪৪ জন পুরুষ ও ৮৯১ জন নারী রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া দেখে বুঝা যায়, মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। যেমন নিবন্ধন কার্ডে থাকছে নাম, বাবা মায়ের নাম, দেশ, ধর্ম ও লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য। এরপর তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপ।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের কাজ চলছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুত সব রোহিঙ্গার নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

গত দেড়মাসে ৩টি পাহাড় কেটে সাবাড় : পাহাড়খেকো আহসান উল্লাহ’কে ঠেকাবে কে ?

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও এসবের কোনো কিছুই ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/