গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফের শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাদ্দাম হোসেন নামে ১০ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২ বছরের অপর শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে। পুলিশ অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে বুধবার সকালে আটক করে আদালতে প্রেরন করেছে।
অপরদিকে ভিকটিম শিশুটিকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। (মামলা নং-০২)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ আইন ও শালিস কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিকটিম শিশু সহ অভিযুক্তকে এজাহারের আবেদন নিয়ে থানায় পাঠান। পরে মামলাটি এজাহার হিসাবে লিপিবদ্ধ করে আদালতে প্রেরন করেন।
ভিকটিম শিশুটির মা টেকনাফের নয়াপাড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ এর বাসিন্দা তসলিমা জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে তিনি ক্যাম্পের পাশে অন্য একটি বাসায় ছিলেন, শিশুর পিতা রশিদ উল্লাহও কাজের জন্য টেকনাফে ছিলেন। এসময় ৫ ও ২ বছরের দুই মেয়ে তাদের ঘরের সামনে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী এক নারীর চিৎকারে ঘরে ছুটে যান। গিয়ে শুনতে পান অভিযুক্ত সাদ্দাম তার দুই বছরের মেয়েকে গোসলখানায় নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করছিল এসময় ওই নারী চিৎকার দেয়। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে এ নিয়ে বিচার শালিস হওয়ার কথা ছিল। পরে ক্যাম্প ইনচার্জ বিষয়টি জানতে পেরে থানায় পাঠান।
এদিকে অভিযুক্ত শিশু সাদ্দামের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে শিশুটির সাথে খেলছিল। অভিযুক্তের বাবা ইয়াছিন জানায় তার ছেলে ৩য় শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। ঘটনার সময় তিনি ক্যাম্পে ছিলেন না। ক্যাম্পের ব্লক মাঝি এনায়েতুল্লাহ বিচার করার কথা ছিল।
আইন সহায়তা কেন্দ্রের লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা মো. ফারুক জানান, শালবন ক্যাম্প ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ইউএনএইচসিআর ও বিএনডব্লিওএলএ’র কর্মকর্তা মাহবুবের মাধ্যমে আইন সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে অভিযুক্ত ও ভিকটিম শিশুকে নিয়ে থানায় মামলা করার জন্য পাঠান। সেই অনুযায়ী তারা মামলা দায়ের করতে থানায় আসেন।
১০ বছরের শিশু কিভাবে ধর্ষন করতে পারে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তিনি জানান, চাকুরীর সুবাধে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করছেন মাত্র।
You must be logged in to post a comment.