গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে দেয়া সম্মানসূচক কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে দেশটির নাগরিকরা। স্থানীয় সময় রোববার কানাডার রাজধানী অটোয়াতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানমাদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। একে জাতিগত নিধনের আদর্শ উদাহরণ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত এবং চার লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
অং সান সুচি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে মিয়ানমারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতার বিরুদ্ধে তিনি কোনো কথা বলতে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে সুচিকে দেয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে কানাডায়। রোববার অটোয়াতে সমবেতরা কানাডার লিবারেল সরকারকে সুচির নাগরিকত্ব বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।
ফরিদ খান নামের একজন বলেন, একজন কানাডীয় হিসেবে আমরা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাসী। যখন কানাডা সরকার অং সান সুচিকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল তখন তিনিও এসব মূলনীতি মেনে চলার কথা বলেছেন। দুঃখজনক হলো নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাইলামা বা মালালা ইউসুফ জাইয়ের সঙ্গে অং সান সুচি এ সম্মান বজায় রাখার জন্য আর উপযুক্ত নন।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা মিয়ানমারের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি দাবি জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেখানে খুশি বসবাস করতে চান সেখানে তাদের থাকার বন্দোবস্ত করতে ট্রুডোকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে অংশ নিয়ে লিবারেল পার্টির এমপি কারেন ম্যাকক্রিমন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডার আরও কিছু যে করার আছে, তার ব্যাপারে তিনি সচেতন রয়েছেন। রাখাইনে চলমান সেনা অভিযান সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, মিয়ানমার সরকারের অভিযান মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। কানাডার সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। অটোয়া এলাকার এ এমপি বলেন, আমরা জানি যে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা জানি যে, এখন কানাডার সোচ্চার হওয়ার সময় হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে তা করেছেন। তবে এখন আমাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে।
সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.