ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে ঋতুস্রাবের প্রবাহ, সময় ও রঙের ক্ষেত্রে একজন নারীর থেকে আরেকজন নারীর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
প্রকৃতপক্ষে ঋতুস্রাব নারীর স্বাস্থ্যের অবস্থার কথা বলে। তাই প্রতিটি নারীর জন্যই ঋতুস্রাব কেমন হচ্ছে এটি পর্যবেক্ষণ করা খুব জরুরি।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট সুপার টেস্টি রেসিপি প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত একটি পরামর্শ।
- রং ও প্রবাহ
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঋতুস্রাবের প্রধানত তিনটি রং হয়। ব্লুবেরি (কালচে), স্ট্রবেরি জ্যাম (লালচে জ্যাম) এবং ক্র্যানবেরি জুস (টকটকে লাল)।
– ঋতুস্রাব বরফায়িত ব্লুবেরির রঙের হওয়া মানে এর সঙ্গে উচ্চ পরিমাণ ইসট্রোজেন হরমোনের যোগাযোগ রয়েছে। এটা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু জটিল অবস্থা। সাধারণত জরায়ু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পুরু অবস্থায় থাকলে এ রকম হয়।
– ঋতুস্রাবের রং স্ট্রবেরির জ্যামের মতো হলে এর মানে হলো এখানে ইসট্রোজেনের মাত্রা কম। এখানে প্রবাহ একটু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি। ইসট্রোজেনের মাত্রা কম হলে এমন হয়। এই সময় জরায়ু সাধারণত পাতলা থাকে।
– ঋতুস্রাব ক্র্যানবেরি জুসের মতো হওয়ার মানে হলো এটি ভালোভাবে হচ্ছে এবং এখানে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই।
- অনিয়মিত স্রাব বা মাঝে মাঝে ছিটেফোঁটা স্রাব
ঋতুস্রাব যদি ভালোমতো না হয়ে মাঝে মাঝে একটু একটু হয় বা অনিয়মিত হয়, এর মানে শরীরে কোনো সমস্যা হচ্ছে।
– হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনেক সময় এ রকম হয়। এ ছাড়া থাইরয়েডের সমস্যা, ডিম্বাশয়ের সমস্যার কারণে অনেক সময় এ রকম হয়।
– মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে এ রকম অনিয়মিত স্রাব হতে পারে।
– ক্যানসার হলে মাঝে মাঝে এই রকম ঋতুস্রাব হয়। জরায়ুমুখের ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এ রকম হয়।
– সংক্রমণের কারণেও এই রকম হতে পারে।
- ঋতুস্রাবের ব্যথা
ঋতুস্রাবের ব্যথা সাধারণত স্বাভাবিক বিষয়। এ সময় ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। তবে ব্যথা যদি দুদিনের বেশি স্থায়ী হয় তবে এটি ভালো নয়। এই সময় অবশ্যই গাইনোকোলজিস্টের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র:ntvbd.com
You must be logged in to post a comment.