প্রথম ইনিংসে ৩২.১ ওভারে ১০০ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ ওভারে ১০৪ রান। এটাই শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মধ্যকার সদ্য শেষ হওয়া গল টেস্টের সাকিব আল হাসানের বোলিং ফিগার। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটাই সাকিবের একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি, তাও বোলিংয়ে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৪৯৪ রানে থামাতে পেরেছে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে সেখানে বোলার সাকিবের কৃতিত্ব খুব একটা চোখেই পড়েনি। ১০০ রানের বিনিময়ে উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট। একদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও মাত্র চার দিনেই বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ২৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কেউ এই রেকর্ড করলো। এর আগে দুই ইনিংসেই রান দেওয়ার সেঞ্চুরি আছে স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ১৪৭ ও ১১৬ রান দিয়েছিলেন তিনি।
এবারই প্রথম একই ম্যাচের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি দিলেও ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ২১ ইনিংসে একশ বা এর বেশি রান দিয়েছেন তিন ফরম্যাটেই সেরা এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের স্পিন বোলারদের মধ্যে সাকিবের পরেই আছেন মোহাম্মদ রফিক। তার দেওয়া সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৭।
তবে সব মিলিয়ে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার শতরান দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান স্পিন কিংবদন্তী মুত্তিয়া মুরালিধরন। তিনি মোট ৬১ বার একশতর উপরে রান দিয়েছেন। ভারতের বর্তমান কোচ অনিল কুম্বলে দিয়েছেন ৫৭ বার। আরেক ভারতীয় হরভজন সিং ৪৩ বার, অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিন কিংবদন্তী শেন ওয়ার্ন ৪০ বার, পাকিস্তানি দানিশ কানেরিয়া ৩৯বার সেঞ্চুরি সংখ্যক রান দিয়েছেন।
পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে এই শতরান দেওয়ার মধ্যে সবার উপরে আছেন ইয়ান বোথাম, ৩১ বার। ভারতীয় কপিল দেব ২৫। বাংলাদেশের পেসাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শতরান দিয়েছেন সীমিত ওভারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার এই ইনিংসের সংখ্যা ১০।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.