সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / ফিলিস্তিনিদের ‘আগুন ঘুড়িতে’ জ্বলছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনিদের ‘আগুন ঘুড়িতে’ জ্বলছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে উড়ে আসা শত শত ‘ফায়ার কাইটস’ বা ‘জ্বলন্ত ঘুড়ির’ সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে দখলদার ইসরায়েল। ঘুড়ি মোকাবেলায় বিশেষ ড্রোন তৈরি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না তারা। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল থেকে এ বাস্তবতার কথা স্বীকার করেছে।

রবিবার টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কিবুতজিম এলাকার ফসলি জমিতে আগুন জ্বলছে।

ইসরায়েলের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, গাজা থেকে উড়ে আসা জ্বলন্ত ঘুড়িই এই আগুনের সূত্রপাত। দমকল কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

ইসরায়েলি টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা থেকে উড়ে আসা শত শত ঘুড়ি ধ্বংস করা যাচ্ছে না। ইসরায়েলি ড্রোনগুলো আকাশেই ঘুড়িগুলোকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সব ঘুড়ি ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ উড়ে আসা ঘুড়ির সংখ্যা অনেক।

গাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের অধিকারের দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন। এর পাশাপাশি গাজাবাসীরা ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ঘুড়ির লম্বা লেজে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। এসব ঘুড়ি কখনো কখনো সীমান্ত দেয়ালের ওপারে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় গিয়ে পড়ে।

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিন থেকে উড়ে আসা ২৭০টি আগুন ঘুড়ি ইসরায়েলের ছয় হাজার ২০০ একর ভূমি পুড়িয়েছে।

টাইম অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ঘুড়ি প্রতিহত করতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব ঘুড়ি আকাশেই ধ্বংস করতে ড্রোন ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সেনারা।

গত ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি।

সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/07/Earthquake-Iceland.jpg

আইসল্যান্ডে একদিনে ২২০০ ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের আশপাশে একদিনে প্রায় ২ হাজার ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/