গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সারা দেশের ন্যায় ঈদের আনন্দে মুখরিত সীমান্ত নগরী টেকনাফ। কারণ পর্যটন নগরী এই উপজেলায় রয়েছে দেখার মত প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা অনেক পর্যটন স্পট। সেই সূত্র ধরে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে এই এলাকার পর্যটন স্পট গুলো। এখানে দেখার মত ঘুরার মত স্পটগুলো হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, নেচার পার্ক, জইল্ল্যার দ্বীপ, কুদুম গুহা, প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা বিশাল গর্জন বাগান।
এদিকে সৌন্দর্যের অপরূপ এই লীলাভূমিতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আরো আকর্ষণ করে তুলতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীর উপর তৈরী করা হয়েছে বিশাল আকারের এক ট্রানজিট জেটি। ইতিমধ্যে এই নবনির্মিত এই জেটি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তুলেছে। যা একবার দেখলে বার বার দেখতে ইচ্ছে করে। নাফ নদের উপর তৈরী হওয়া এই জেটির পূর্বদিকে তাকালে খুব সহজে দেখা যায় পার্শ্ববর্তীদেশ মিয়ানমার। বর্তমানে টেকনাফের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করতে গেলে নাফ নদীর উপর তৈরী হওয়া এই জেটির প্রসঙ্গ চলে আসবেই। এর সৌন্দর্য সত্যিকার ভাবে উপলব্ধি করতে হলে নিজ চোঁখে দেখার জন্য আসতে হবে। নাফ নদীর পশ্চিমে কেওড়া গাছের সবুজ বেস্টনী যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব লীলাভূমি। ঠান্ডা ঠান্ডা হিমেল হাওয়া এবং উপকূলের মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন এই জেটির উপর ভিড় করেন দর্শণার্থীরা।
সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ঈদের দিন থেকে শত শত নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীদের পদবারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে জেটির উপর দর্শণার্থীদের এই মিলন-মেলার চিত্রটি চোঁখে পড়ার মত।
এ ব্যাপারে টেকনাফ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলাকে পর্যটকদের পদবারে আরো মুখরিত করে তোলার জন্য পর্যটন জোনে হিসাবে পরিচিত টেকনাফ উপজেলার পর্যটন খ্যাত স্পট গুলোকে আরো আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে হবে। তার পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে এই রোহিঙ্গাদের কারণে প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা এই অপরূপ লীলাভূমির সৌন্দর্য বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.