সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গেইট খোলা-বন্ধের দ্বন্দ্ব : চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক কর্মচারী-ইজারাদারের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া গুলিবর্ষণে আতংকে দর্শণার্থীরা

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গেইট খোলা-বন্ধের দ্বন্দ্ব : চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক কর্মচারী-ইজারাদারের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া গুলিবর্ষণে আতংকে দর্শণার্থীরা

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে পর্যটক প্রবেশ করানো নিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ ও গেইট ইজারাদারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হাতহাতি ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পার্কে আসা দর্শনার্থীসহ নিকটবর্তী এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ১৯ জুন বেলা সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সাফারী পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার সাফারী পার্ক বন্ধ থাকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ইজারাদারের লোকজন বহিরাগত কিছু লোক নিয়ে দা, হাতুড়িসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে অনুমতি না নিয়েই সাফারী পার্কের প্রথম গেইটের পকেট দরজা ও ভিতরের গেইটের তালা ভেঙ্গে হাজার খানেক পর্যটক ঢুকানোর চেষ্টা করে। এসময় পার্কের কর্মচারীরা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন রেঞ্জ অফিসার মোর্শেদুল আলমকে কিল, ঘুষি, লাথি মারে। অন্য কর্মচারীদেরও মারধর শুরু করলে আত্মরক্ষার্থে পার্ক কর্মচারীরা ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় বাইরেও ইজারাদারের লোকজন গুলি করে বলে মাজহার চৌধুরীর দাবী।

অন্যদিকে, গেইট ইজারাদার মো.রফিক উদ্দিনের পক্ষে পরিচালক নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা পার্ক কর্তৃপক্ষ চটগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলার কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ দিন হিসেবে পর্যটক ঢুকাতে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি। এই অনুমতির কথা জানালে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রথমে গেট খুলে দিলে আমরা ৬০-৭০টি টিকেট বিক্রি করি।

তিনি আরো বলেন, টিকিট বিক্রির পর পর্যটক ঢুকানোর আগেই পার্কের রেঞ্জার মোটা অংকের টাকা দাবী করলে তা দিতে অস্বীকার করলে ফের গেট বন্ধ করে দেয় এবং পার্ক কর্মচারীরা গুলি করলে পর্যটকসহ এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রেঞ্জারকে মারধর করার অভিযোগ সাজানো ও মিথ্যা বলে তার দাবী।

সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে সাফারী পার্ক খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চটগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/03/Hamidul-11-3-24.jpg

ঈদগড়ে মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত হচ্ছে শিশু কিশোর, বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

  হামিদুল হক; ঈদগড় :কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী জনপদ ঈদগড়ে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে লুডু খেলা এখন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/