নিজস্ব প্রতিবেদক :
৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় ৯ জনকে আসামী টেকনাফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও দ্বিতীয় আসামী করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে।
আসামীরা হচ্ছে- ১) লিয়াকত আলী প্রকাশ সিফাত, পিতা- মৃত সাহাব মিয়া, সাং- পূর্ব লাইন, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ২) প্রদীপ কুমার সাহা, পিতা- মৃত হরেন্দ্র লাল দাশ, সাং- সারুয়ারতলী, কুঞ্জলী, পোস্ট – বোয়ালখালী, জেলা- চট্টগ্রাম, ৩) এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, ৪) কনস্টেবল সাফানুল করিম, ৫) কনস্টেবল কামাল হোসেন, ৬) কনস্টেবল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৭) এএসআই লিটন মিয়া, ৮) এএসআই টুটুল, ৯) কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস (৪২), পিতা- বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ খান, স্বামী- মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বাড়ি নং- ৩১, রোড়-০১, সেক্টর-১৩, উত্তরা, ঢাকা। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে র্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানিয়েছেন, পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। বিচারক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতের সিদ্ধান্তের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভাইয়ের হত্যা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজারে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলার কথা রয়েছে সেনা প্রধান ও পুলিশ প্রধানের।
অপরদিকে ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
You must be logged in to post a comment.