একটি দেশের উন্নয়ন অনেকাংশেই নির্ভর করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। সেই যোগাযোগের নতুন বিপ্লবের নাম এখন আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই নির্মাণাধীন সড়কটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের উপকূলীর বাসিন্দাদের মাঝে অলিক স্বপ্ন বাস্তবায়নে রুপ পেয়েছে। তাই কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপকূলীয় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের মাঝে আনন্দের হিল্লোল বইছে। দু’উপজেলার উপর দিয়ে ১৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এই আনন্দ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করছে। এই সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। অবহেলিত উপকূলবাসীকে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতেই এই সড়ক নির্মাণ। পাশাপাশি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছতে যাওয়া পর্যটন জেলা কক্সবাজার ও নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা রচিত হবে এই সড়ক।
আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের কৃষকরা প্রতিবছর জমিতে উৎপাদিত ফসল সহজে পরিবহণ করতে পারবে এবং ন্যায্য দামে বিক্রয় করতে নিতে পারবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সব মিলিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকার ৫ লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্যে খুব অল্প সময়ে ইতিবাচক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা।
কক্সবাজার সড়ক বিভাগ সুত্র জানায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) পেয়েই প্রাথমিক ধাপের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। চলতিমাসেই শুরু হবে প্রকল্পের মূল উন্নয়ন কাজ। কার্যাদেশে নির্দেশ রয়েছে চলতিবছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কার্যাদেশ মতে আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে গৃহীত উন্নয়ন কাজ। তারমধ্যে প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি লালব্রীজ থেকে পেকুয়া সদর হয়ে টৈইটং সেতু পর্যন্ত সড়ক।
সড়ক বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, বর্তমান সরকার মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক গুলো মাদার (বড়) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সহজে যাতায়াতের জন্য আঞ্চলিক মহাসড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারনেই সড়ক বিভাগ সরকারের নির্দেশে আঞ্চলিক মহাসড়কটি সম্প্রসারণ ও নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সড়কের উন্নয়ন কাজ প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসেই শুরু হবে সড়কের মূল উন্নয়ন কাজ। উন্নয়ন কাজের ব্যাপারে যাতে কোন ধরণের অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ না উঠে সেই ভাবেই কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের কাছ থেকে শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্মাণ কাজ আদায় করার লক্ষে নিয়মিত মনিটরিং করছে।
You must be logged in to post a comment.