সারাদেশের ন্যায় ৩০ ডিসেম্বর বুধবার লামা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২, ৫, ৬, ৭ ও ৮নং কেন্দ্রে চলছে জাল ভোটের ছড়াছড়ি। সকাল থেকে বহিরাগতদের অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে ঘটেছে মারপিট, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ নানান ঘটনা। যার মূলে রয়েছে লামা উপজেলার সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা গেছে।
বেলা ১১টার দিকে ২নং ওয়ার্ডে জাল ভোট প্রদানকারী পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার মাইজ পাড়ার হেলালকে আটক করে লামা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট। আটক হেলালকে লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট এর আদালতে জেল হেফাজতে রাখা হযেছে। একই কেন্দ্রে বেলা ২টার দিকে দুই কাউন্সিল প্রার্থী মোমিন ও বাদশার সমর্থকদের মাঝে মারপিট হয়। পরবর্তীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া বেলা ২টা থেকে ৫ ও ৬নং কেন্দ্রে জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুলের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করায় চলছে জাল ভোট। কয়েক জনকে আটক করে মোখিক ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছে র্যাব, বিজিবি, আনসার, পুলিশ গ্রাম পুলিশ ও ভিডিপি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলায় যথেষ্ট আইন শৃঙ্খলা মজুদ আছে।
লামা পৌরসভা নির্বাচনে রির্টানিং অফিসার শফিকুর রহমান বলেন, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কাজে সম্পৃক্তি সবাইকে বলা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.