কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেয়া শামিমা বেগম আত্মঘাতী হামলাকারীদের সুইসাইড ভেস্ট বা বিস্ফোরকযুক্ত পোশাক পরিয়ে সেলাই করে দিতেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি মেইল রোববার জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদকে এক ব্রিফিংয়ে শামিমা সম্পর্কে এসব তথ্য দেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান কর্মকর্তারা।
দ্য ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবী করেছেন, শামিমা আত্মঘাতী হামলাকারীদের গায়ে সুইসাইড ভেস্ট সেলাই করে পরিয়ে দিতেন, যেন এসব ভেস্ট বা পোশাক সেগুলোতে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে তাদের গা থেকে খোলা না যায়।
সিরিয়ায় শামিমার রক্ত হিম করা ভূমিকার কথা জানাতে গিয়ে গোয়েন্দারা বলেন, আইএসের যখন পতন ঘটছিল তখন তিনি জিহাদিদেরকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহ দেন।
দ্য ডেইলি মেইলের ভাষ্যমতে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং নেদারল্যান্ডসের সংস্থা ডাচ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স আইএস ছেড়ে আসা অন্যান্য পশ্চিমাদের কাছ থেকে শামিমা সম্পর্কে এসব তথ্য পান।
এসব অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে পূর্ব লন্ডন থেকে গিয়ে আইএসে যোগ দেয়া শামিমার আগের সব বক্তব্য বানোয়াট প্রমাণিত হবে। আগে শামিমা দাবী করেছিলেন, ২০১৫ সালে আইএসে যোগদানের পর তিনি একজন আইএস যোদ্ধার স্ত্রী ছাড়া আর কোনও ভূমিকা পালন করেননি। তিনি সবসময় ঘরে থাকতেন এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন বলে দাবী করেছিলেন।
এদিকে, ব্রিটেনের দ্য সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকা জানায় শামিমা সন্ত্রাসী দলটির ‘মরালিটি পুলিশ’ বা নৈতিকতা নজরদারিতে নিয়োজিতদের দলে কাজ করতেন। কোমলমতি মেয়েদের আইএস সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করতেও কাজ করতেন শামিমা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র পত্রিকাটিকে জানায়, আইন প্রয়োগকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শামিমাকে একটি কালাশনিকভ রাইফেল বহনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পোশাক পরার বিষয়ে আইএসের আইন মানা হচ্ছে কি না তা তদারকি করতেন শামিমা।
ওই অঞ্চলে আইএসের পতনের পর দক্ষিণ সিরিয়ার একটি ক্যাম্পে ১৯ বছর বয়সী শামিমাকে খুঁজে পান একজন সাংবাদিক। ওই সময় শামিমা দাবী করেন, আইএসেরে সঙ্গে থাকার সময় তিনি কখনো ‘বিপদজনক কিছু করেননি’ শামিমা ব্রিটেনে ফেরার আবেদন জানালেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিদ তাকে যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন।
সূত্র:deshebideshe.com-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.