নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন।
১৯ ডিসেম্বর, বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি তুলেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সারা বিশ্বের চোখ থাকবে বাংলাদেশের ওপর। এই অবস্থায় ইন্টারনেটের গতি কমানো হলে নির্বাচনের খবর সংগ্রহ ব্যাহত হবে। ফলে প্রশ্ন উঠতে পারে নির্বাচন নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সারা বিশ্বের চোখ থাকবে বাংলাদেশের ওপর। ইতোমধ্যে অনেক দেশই জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সরাসরি আসছে না। তারা প্রযুক্তির মাধ্যমেই সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছে। যদি ইন্টারনেটের গতি কমানো হয় তাহলে বিশ্ব দুনিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে খবরা-খবর ও তথ্য তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হবে। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত ইন্টারনেটের গতি না কমিয়ে ফেক ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, ই-মেইল, স্কাইপি ও ফেক অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া।’
‘যদি তা না করা হয় তাহলে তথ্য সংগ্রহে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কেউ কেউ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুলতেই পারে। বিতর্ক এড়াতে নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও সাইবার ইন্টেলিজেন্সকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থায় রাখা।’
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের ইটিআই ভবনে এক প্রশিক্ষণে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভোটের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমানোর বিষয়ে ভাবছে কমিশন। এমন ঘোষণা আসার পরেই এই বিবৃতি দিল সংগঠনটি।
সূত্র:রাকিবুল হাসান-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.