যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শুরু হলো করমর্দনের মাধ্যমে। গত দেড় বছর তীব্র বাদানুবাদে লিপ্ত থাকা এ দুই নেতার মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকটি বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার পর শেষ হয়। বৈঠকের আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন বৈঠক শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই তিনি কিমের আন্তরিকতা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
তবে কিম তার দেশের পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগে কতটা আন্তরিক, সেটি এখনো জানা না গেলেও বৈঠক শেষে ট্রাম্প ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকের পর দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।
এদিকে বৈঠক শেষ বেরিয়ে আসার সময় দুই নেতাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। দুজনই বাইরে বেরিয়ে এসে হাত নেড়েছেন। বৈঠক কেমন হলো, এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প শুধু ‘ভালো। খুবই ভালো।’ এছাড়া তার এবং কিমের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক তৈরী হতে পারে বলেও বারবার বলতে শোনা গেছে ট্রাম্পকে।
এ বৈঠকে শুধুমাত্র অনুবাদক ছাড়া এই দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
১২ জুন, মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরের স্যান্টোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বহুল আলোচিত ও প্রতিক্ষীত এ বৈঠকে উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক কিম ওং কোল কিমের সঙ্গে রয়েছেন। বৈঠকটি প্রথমবার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর তিনিই কিমের ব্যাক্তিগত চিঠি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ওং হো, দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ওং এ বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বৈঠকে কিম জং উন আগে উপস্থিত হন। ট্রাম্প ও কিম হোটেলের সিঁড়িতে দেখা করেন এবং দুই দেশের পতাকার সামনে করমর্দন করেন। নিজের অভ্যাসবশতই শক্ত করে কিমের হাত চেপে ধরেন ট্রাম।
বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প ও কিম সংবাদকর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে ট্রাম্প জানান, তার আশা এই বৈঠকটি খুবই সফল হবে। কিম জানান, এ পর্যায়ে আসাটা সহজ ছিল না এবং পুরানো সংস্কার ও অভ্যাস পার হয়েই আজ এ বৈঠকে উপস্থিত হতে পেরেছেন তিনি।
প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠকের পর বের হয়ে আসেন এই দুই নেতা। তাদের সঙ্গে শুধু দোভাষী উপস্থিত ছিল। বৈঠকের পরই তারা নিজ নিজ উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে যান। তার আগে আবারও কয়েক মিনিট সংবাদকর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলেন। কিম এই বৈঠককে ‘শান্তির পূর্বাভাস’ বলে আখ্যা দেন এবং ট্রাম্পও তার সঙ্গে সুর মেলান।
স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ট্রাম্প ও কিমের বৈঠক চলার কথা। দুপুরের খাবারের সময়েও তারা কথা বলবেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে আবার সংবাদকর্মীদের সামনে কথা বলবেন তারা।
সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.