সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / কক্সবাজারের উখিয়ায় শীতের আগাম বার্তা

কক্সবাজারের উখিয়ায় শীতের আগাম বার্তা

ফাইল ফটো

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়ায় গেল কয়েক দিন আগেও ছিল বৃষ্টি। এখন গভীর রাতে হালকা ঠান্ডা আমেজ ভাব নিয়ে আসছে শীতের আগমনি বার্তা। ইতোমধ্যে রোদের তাপমাত্রা দিনের বেলায় কমতে শুরু করেছে উখিয়ায়। তাই বিকাল হওয়ার সাথে সাথেই শীতের আবাস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা থেকে ভোর হওয়া পর্যন্ত হালকা শীত অনুভব করা যায় পুরো কক্সবাজার জেলায়।

সাধারণত সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে নভেম্বর থেকে শীত অনুভূত হতে শুরু করে। তবে ডিসেম্বরে মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল বলে ধরা হয়। বাংলায় পঞ্জিকা অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ এই দুইমাস শীতকাল। তবে এবার শীতের আগমনি বার্তা পাওয়া যাচ্ছে আরও আগে। কেননা নভেম্বরের আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই উখিয়াতে শীতের আগমনের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার কার্তিকের তৃতীয় দিন কুয়াশায় ভেসে ভোরে আগমন হয়। কুয়াশায় চাদর সরিয়ে শুরু হয় হেমন্তের তৃতীয় সকাল। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস মিলে বাংলা ঝতু চক্রের চতুর্থ ষড়ঝতু হেমন্তকাল। হেমন্তের প্রথম দিনটিতে কক্সবাজারে সূর্যের আলোকচ্ছটার সঙ্গে কুয়াশা পেরে উঠেনি বেশিক্ষণ। তবে শীতকাল যে আসন্ন তার ইঙ্গিত দিয়ে গেল ভোরের এই কুয়াশা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশ এলাকায় রাতে শীত অনুভব হচ্ছে। সেই সঙ্গে দিনভর রোদের কারণে একটু গরম লাগলেও বিকাল থেকেই শীতল হাওয়া আর সন্ধ্যার পরপরই একটু একটু কুয়াশাও ঝরতে শুরু করেছে। রাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ঝরছে। সকালে দেখা মিলছে বিভিন্ন লতা, পাতা, গাছে যেনো শিশিরের অরংকার পড়েছে।

এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের শীতে একমাত্র অবলম্বন কাঁথা। তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এসব পরিবারের নারী সদস্যরা এখন কাজের ফাঁকে তাদের পুরনো কাঁথা মেরামত করার পাশাপাশি পুরনো নতুন কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার অনেকে চেয়ে আছেন শীতবস্ত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। যদিও সবার ভাগ্যে তা জোটেনা। আর কৃষকরা অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে আবাদ করেছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। হাট-বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে শীতের শাক-সবজির দামও বেশ ভাল। তাই হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ ! https://coxview.com/tree-200-years-rafiq-5-2-24-1/

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ !

লামা বন বিভাগের বমু রিজার্ভ ফরেস্টের পুকুরিয়াখোলা এলাকায় অবস্থিত বৃহৎ তেলশুর গাছ দুইটি।   মোহাম্মদ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/