মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার পরস্পর আত্মীয় তিন পরিবারের দীর্ঘদিনের সখ ছিল কক্সবাজার বেড়ানো। দীর্ঘ এক বছর প্রস্ততি নিয়ে ওই পরিবারগুলোর ১২ সদস্য বৃহস্পতিবার পর্যটন শহরে যাচ্ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দাদী-নাতী ও চালক মারা যাওয়ায় আর বেড়ানো হয়নি তাদের। আনন্দের পরিবর্তে ওই পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ১২টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ভান্ডারির ডেবা এলাকায় শ্যামলী পরিবহণের বাসের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে গেলে দগ্ধ হয়ে দাদী-নাতীসহ তিনজন মারা যাওয়ায় এঅবস্থার সৃষ্টি।
নিহতরা হলেন- ঢাকার নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার বিশ্বাস বিল্ডার্স এর বাসিন্দা মনু হোসেনের স্ত্রী আফিয়া বেগম (৫৪), তার নাতী মাসুদ রানার শিশু ছেলে ইয়ামিন (১) ও মাইক্রোবাস চালক চাঁদপুরের মহেশপুর উপজেলার আবুল পাটোয়ারীর ছেলে আরিফ পাটোয়ারী (৩৪)।
দগ্ধ হয়ে আহতরা হলেন-ঢাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা (৩২), তার স্ত্রী শাহেনুর আক্তার (২৫), ছেলে বায়েজিদ ও মেয়ে স্মৃতি, একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, তার দুই মেয়ে সাদিয়া ও তাকসিন, আবদুর রহিমের মেয়ে ববি ও তাদের গৃহকর্মী রোমানা (১৫)। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস যোগে কয়েকটি পরিবারের ১২ সদস্য কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং এলাকার ভান্ডারির ডেবা এলাকায় পৌছলে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামি শ্যামলী পরিবহণের একটি যাত্রীবাহি এসি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাসের নিচে চাপা পড়ে মাইক্রোবাসটি। এবাসটি টেনে বের করার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোটি পুড়ে যায়। সাথে দগ্ধ হয়ে দাদী-নাতী ও চালক নিহত এবং অপর ৯জন আহত হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের আইসি আবুল হাশেম মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.