বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন। এখন অপেক্ষা ফল ঘোষণার।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোট চলাকালে সকাল থেকে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্রে গোলযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সোয়া ৯টার দিকে কুমিল্লা মডার্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সাড়ে ৯টার দিকে হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
ভোট দেওয়ার পর বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাক্কু অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার সময় দুটি কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশকে নিয়ে গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দেন।
এদিকে, নির্বাচন চলাকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের হয়ে কাজ করেছে।
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ওই সিটিতে নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১১৯ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ১১৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী ছিলেন।
সূত্র:ntvbd.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.