ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার হোটেলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। নগরীর হো চি মিন সরণির গোল্ডেন পার্ক হোটেল ওই আগুনে নিহত হয়েছেন দুজন।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোল্ডেন পার্ক হোটেলের একতলায় রান্নাঘরে এই আগুন লাগে।
সেই সময় হোটেলে থাকা বেশিরভাগ অতিথি ঘুমাচ্ছিলেন। ধোঁয়া ও চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে তাঁদের।
হঠাৎ ঘুম ভাঙা হোটেলের অতিথিরা আতঙ্কে হোটেল ছেড়ে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন। মূল গেট দিয়ে বেরোতে না পেরে হোটেলের তিনতলার জানালা দিয়ে নিচে ঝাঁপ মারেন কয়েকজন।
সুস্মিতা ভট্টাচার্য আরো জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সোয়া ৩টার দিকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনীর ১০টি ইঞ্জিন। আসে রাজ্য সরকারের বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। এই দুই বাহিনী হোটেলকর্মী ও অতিথি মিলিয়ে প্রায় ৩১ জনকে উদ্ধার করে।
এ সময় গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যুগল কিশোর গুপ্ত ও অনুপ আগরওয়াল নামের দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত দুজনই ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বাসিন্দা।
এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে হোটেলের কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢোকে দমকল বাহিনী।
অমিত চক্রবর্তী আরো জানান, হোটেলটিতে মোট ৪০টি কক্ষ ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে বেশিরভাগ কক্ষেই অতিথি ছিলেন।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ওসি জানান, হোটেলটিতে অগ্নিসুরক্ষা বিধি ঠিকমতো মানা হয়নি। আগুন লাগার পর হোটেলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কাজ করেনি।
তবে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের তৎপরতায় আগুন ভয়াবহ আকারে ছড়াতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দমকল ও পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। তবে দুজনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র:ntvbd.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.