কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহৃত কলেজ ছাত্রী জন্নাতুল নাঈমাকে অপহরণের ৭দিন পার হয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে থানায় অভিযোগ করায় উল্টো আসামি পক্ষের লোকজন অপহৃতার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠিয়ে না নিলে ওই ছাত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন অপহৃতের বাবা উপজেলার কাকারা ইউপি সদস্য (মেম্বার) নুরুল হক।
অপহৃতের বাবা নুরুল হক মেম্বার জানান, তার মেয়ে নাঈম চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধীনে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি মানবিক বিভাগে অধ্যায়নরত। কিছুদিন আগে একই উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মোস্তাক আহমদের ছেলে মিজানুর রহমান তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। এতে তার পরিবার রাজি হয়নি।
অভিযোগ তিনি আরো বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারী দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওইসময় কলেজ গেইটে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ৪-৫জনের অস্ত্রধারী ব্যক্তি জোরপুর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে (ওই ছাত্রী) চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যায়। তিনি জানান, মুলত বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত মিজান ও তার সহযোগিরা মিলে মেয়েকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় তিনি ইতোমধ্যে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি পক্ষের লোকজন উল্টো নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে অভিযুক্ত আসামি মিজানের ভগ্নিপতি লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী রুখসানা বেগম অভিযোগটি তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ওই ছাত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিচ্ছে ।
জানতে চাইলে অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহৃতের পরিবারকে বলা হয়েছে, আসামি পক্ষের সন্ধান সনাক্ত করতে পারলে তাৎক্ষণিক জানানোর জন্য।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সোর্স নিয়োগ করেছে। অপহৃত পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
You must be logged in to post a comment.