চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্য সন্ধানে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। চাঁদের দক্ষিণাংশের মাটি কেমন, সেখানেও বরফের পুরু স্তর রয়েছে কিনা, পানির ধারা বইছে কিনা- এসব পরীক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা।
কয়েকদিন আগে চাঁদের উল্টোপিঠে অভিযান শুরু করেছে চীন। উপগ্রহটির অন্ধকারের রহস্য সন্ধানে চীনের মহাকাশযান চাঙ-আ ৪ চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করে।
ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর চেয়ারম্যান কে সিভান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দেশই চাঁদের এই অঞ্চলে রোভার পাঠায়নি। ভারতই প্রথম চন্দ্রযান-২ পাঠাতে চলেছে চাঁদের দক্ষিণে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরো জানায়, আসন্ন চন্দ্র মিশন অরবিটার, ল্যান্ডার (বিক্রম) এবং রোভার (প্রজ্ঞান)-এর জন্য তিনটি মডিউলের কাজ চলছে। চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের জন্য আগামী জুলাই মাসে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ল্যান্ডারটি সেপ্টেম্বরের শুরুতে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ স্পর্শ করবে।
সাম্প্রতিক বদল অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চন্দ্রযান-২ এর ওজন সামান্য বাড়ানো হয়েছে এবং জিএসএলভি মার্ক ৩ মহাকাশযান দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হবে। এই অভিযানের অরবিটারের ওজন ২৩৭৯ কিলোগ্রাম, ‘বিক্রম’ নামের ল্যান্ডারের ওজন ১৪৭১ কিলগ্রাম। আর রোভারের ওজন ২৭ কেজি।
ইসরো ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে জিএসএলভি এমকে-৩ রকেকটি উৎক্ষেপণের কথা ভাবছে। ৬ সেপ্টেম্বর এটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে ইসরো এমনটাই জানিয়েছেন সিভান। মিশন আদিত্য-এল ওয়ান। আগামী বছরের প্রথম দিকেই ইসরো সূর্যের নিকটবর্তী অঞ্চলকে ছোঁবে।
সূত্র:bangladeshpress.com-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.