বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, গার্মেন্টস পল্লিসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে। আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে দেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে।’
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব : প্রাপ্তি ও প্রত্যশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা তিনি এ কথা বলেন।
গোলটেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন তৈরি করছে। ২০টির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গেছে। যার মধ্যে একটি চীনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, গার্মেন্টস পল্লিসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে। আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। আশা করছি, দেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘চীনের ঋণে সুদের হার বেশি বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে, তা ঠিক না। তবে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবির লোনের চেয়ে একটু বেশি। তবে এই ঋণের একটি অসুবিধা রয়েছে। তা হলো চীনের ঋণ আনসলিসিট (টেন্ডারবিহীন)।’
রাজনীতি পথ ও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে অর্থনীতে পথ-মত ভুলে এক হতে পারলে দেশ লাভবান হবে বলে মন্ত্রব্য করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ১১ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য রয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা অনেক দেশে কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছি। তাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে একটু ধীরে এগোচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে চীনের সঙ্গে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে আমাদের জাতীয় গড় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ।’
গোলটেবিল আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল ইসলাম বুলবুল, (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ইআরএফসভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
সূত্র:risingbd.com, ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.