গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের মহেশখালীয়াপাড়া নৌকা ঘাট এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম হামিদ মেম্বার (৪৫) প্রকাশ ডাকাত হামিদ ওই এলাকার মৃত আবুল হাসিম প্রকাশ হাশেমের ছেলে এবং ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।
এসময় ৪ টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
এদিকে সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ১ জুলাই সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী এসআই/(নিরস্ত্র) সুজিত চন্দ্র দে নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল সদর ইউনিয়ন মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার সময় মহেশখালীয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে বহু মামলার পলাতক আসামী এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী, উক্ত এলাকার মৃত আবুল হাসিমের পুত্র বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ হামিদ প্রকাশ হামিদ ডাকাত (৪৫)কে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর আটককৃত আসামীকে থানায় এনে ইয়াবা পাচার ও অবৈধ অস্ত্র মজুদ রাখার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার দেওয়া স্বীকারোক্তী অনুযায়ী গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা গুলো উদ্ধার করার জন্য ২ জুলাই দিবাগত রাত ১ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউপিস্থ মহেষখালীয়াপাড়া সাকিনের নৌকা ঘাট এলাকায় অভিযানে গেলে উৎপেতে থাকা মাদক কারবারে জড়িত তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে তিন পুলিশ আহত হয়। তারা হচ্ছেন, এসআই, স্বপন চন্দ্র দাশ, এএসআই, কাজী সাইফ উদ্দিন ও কনস্টেবল রয়েল বডুয়া। এরপর (ওসি) প্রদীপের নির্দেশে নিজেদের জীবন সরকারী সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য পুলিশ সদস্যরা প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে আটককৃত আসামী ইউপি সদস্য প্রকাশ হামিদ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।
পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ ডাকাত হামিদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের প্রেরণ করে। অবশেষে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ভোর রাত সাড়ে ৩টা ৪০মিনিটের সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ থানার রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি বিরুদ্ধে মাদক, মানব, অস্ত্র, হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১২টি মামলা রয়েছে।
ওসি প্রদীপ কুমার আরো জানান, টেকনাফ উপজেলা থেকে মাদক, মানব ও সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মুল করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের এই সাঁড়াশী অভিযান চলমান থাকবে। এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে যতই বাধা আসুক না কেন চিহ্নিত অপরাধীরা কেউ রেহাই পাবেনা।
You must be logged in to post a comment.