গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফে ভদ্রতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার ও হোয়াইক্যং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন (৪০) পুলিশের হাতে আটক। আটক আসামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং মহেশখালীপাড়া বাসিন্দা মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে।
স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার হিসেবে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে তার নাম ৬১ নম্বরে রয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে আদায় করা দুই লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেল তিনটায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া তার বসতবাড়ি থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি ও নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর তারিখে পূর্বশক্রতার জের ধরে স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর আলম (৩২) নামে একটি ব্যক্তি হত্যার উদ্দ্যেশে কোপ দিলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যান। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়।ওই মামলায় আসামি না করার কথা বলে জাহিদ হোসেন এক লাখ টাকা দাবী করেন। অন্যথায় মামলার আসামি করা হবে বলে হুমকি দেন। এরপর ৪০ হাজার টাকা আদায় করেন। এ ঘটনায় সিরাজুল মোস্তফা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় এসে জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলার বাদী সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শুধু আমি নই আরও কয়েকজনের কাছ থেকে জাহিদ হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুলিশের নাম ভেঙ্গে টাকা আদায় করতেন বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গোপন তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে,হোয়াইক্যং ইউনিয়নেে প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের বাড়িতে ইয়াবার একটি চালান মজুদ করা হয়েছে।
তারই সূত্র ধরে, পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। এসময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার ইয়াবা ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় বাড়ির গৃহকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। বিকেল পাঁচটার দিকে টেকনাফ বাস ষ্টেশন এলাকা থেকে জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইয়াবা ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায়ের মামলা রুজু প্রক্রিয়া চলছে। তাকে রবিবার কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে।
You must be logged in to post a comment.