গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী ও হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামী নিহত হয়েছে।
জানা যায়, ২৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নে পুলিশ ও কারবারে জড়িত চক্রের সাথে গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় হত্যা মামলার আসামী ও চিহ্নিত ২ ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে। তারা হচ্ছে, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত মোঃ হোসেন প্রকাশ (মাদু) পুত্র আব্দুর রহমান (২৮) ও আব্দুস সালাম (২৬) তারা দুই আপন ভাই, ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খালীখোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায় নিহত দুই ভাই অত্র এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। বিগত কয়েকদিন আগে তারা দুই ভাই মিলে হ্নীলা পানখালী এলাকার মোঃ ইদ্রিসের পুত্র মোঃ ইসমাইলকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি দীর্ঘদিন পলাতক থাকা চিহ্নিত মাদক কারবারী ও সদ্য ঘটে যাওয়া হ্নীলা পানখালীর “ইসমাইল” হত্যা মামলার প্রকৃত ২ জন আসামী নিজ এলাকায় অবস্থান করেছে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ২৮ জুন দিবাগত গভীর রাত ২ টার দিকে তাদেরকে আটক করার জন্য পুলিশ সদস্যরা অভিযানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে চিহ্নিত মাদক কারবারী ও হ্নীলা পানখালীতে সদ্য ঘটে যাওয়া “ইসমাইল” হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামী গুলিবিদ্ধ হয়।
এই ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। তারা হচ্ছে এসআই কামরুজ্জামান, কনস্টেবল বেলাল ও রাসেল। গুলিবিদ্ধ হওয়া ২ যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাদেরকে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো বলেন, যতই বাধা আসুক না কেন, এখনো যারা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত অপরাধীদের চিরতরে নির্মুল করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.