আমাদের দেশীয় খাবার আদা-রসুন ছাড়া রান্নার কথা ভাবাই যায় না। শাক রান্নায় তো রসুন অপরিহার্য। রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও কম নয়। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আছে, সেই সাথে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও কপারের মতো খনিজ।
রসুনের বেশিরভাগ উপকারিতে আসে ‘অ্যালিসিন’ নামের একটি রাসায়নিকের কারণে। এর থেকেই রসুনের তীব্র গন্ধ ও স্বাদ আসে। অ্যালিসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় রসুন বিশেষ উপকারী। কারণ ব্লাড প্রেশার এবং ব্লাড সুগার দুটোই কমাতে পারে এই মশলাটি।
ডায়াবেটিস রোগীদের মূল সমস্যাটি হচ্ছে ব্লাড সুগার খুব বেড়ে যাওয়া বা খুব কমে যাওয়া। রসুন এ সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে রসুন। এছাড়া রসুনের অন্যান্য উপকারিতাগুলো হলো-
১) রসুনে ক্যালোরি অনেক কম, এতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পরিমাণটাও কম। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা তা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
২) টাটকা, কাঁচা এক কোয়া রসুনে থাকে বেশ কিছুটা ভিটামিন বি৬। কার্বোহাইড্রেট মেটাবোলিজমে এই ভিটামিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রসুন খাওয়ার পর কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে মেটাবোলাইজ হয়, ফলে ব্লাড সুগার হুট করে বেড়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না।
৩) নিয়মিত রসুন খাওয়া হলে শরীরে হোমোসিস্টিন অ্যামিনো এসিডের পরিমাণ কমে। এই অ্যামিনো এসিডটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
৪) রসুনে থাকা রাসায়নিক উপাদান যেমন অ্যালিসিন, অ্যালিল প্রোপাইল ডাইসালফাইড এবং এস-অ্যালিল সিস্টিন সালফক্সাইড রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায় বলে দেখা গেছে।
এছাড়া মরিশাস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ১২ সপ্তাহ রসুন খাওয়ার পর তাদের রক্তচাপ গড়ে ১০ পয়েন্ট কমে আসে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে খাবেন রসুন?
রসুন কাঁচাই খেতে পারেন। সালাদের ওপর দিতে পারেন রসুন কুচি। এছাড়া তরকারিতে রসুন দিয়ে রান্না করাটা তো স্বাভাবিক। দুই উপায়েই কাজে আসে রসুন।
সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.