বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭ হাজার ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনায় মৃত্যু হারের হিসাব করলে বেলজিয়ামের অবস্থান সবার উপরে। দেশটিতে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যা বিশ্বে মৃত্যু হারে সর্বোচ্চ।
দেশটির জনসংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ। তাদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার।
প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলমস বলেন, কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু ও আক্রান্ত নিয়ে সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করবে।
অনেকে বলেন, করোনা নিয়ে তথ্য গোপন না করার কারণে দেশটিতে মৃত্যু বেশি।
বেলজিয়ামের সরকারি কর্মকর্তা জানান, তারা যেভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব করছে বিশ্বের কোনো দেশই এভাবে তা করছে না। দেশটি শুধু হাসপাতাল ও কেয়ার হোমে করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের হিসাবই রাখছেন না, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদেরও তালিকাভুক্ত করছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন নিশ্চিত তথ্য না থাকার পরও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এমন রোগীর মৃত্যুও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যাতে করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিন্তু তা জানা যায়নি এমন অভিযোগ না ওঠে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে কেয়ার হোমে। কেয়ার হোমে যারা মারা গেছেন তাদের মাত্র ১৬ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত। এর অর্থ হলো বাকি সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোগী সন্দেহভাজন করোনা রোগী।
গত ১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে লকডাউন চলছে। অপ্রয়োজনীয় সব ব্যবসা বন্ধ। মানুষ ঘরেই রয়েছেন। শুধু জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন। প্রত্যেক পরিবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে একজনের। কিন্তু তারপরও মৃত্যু বাড়ছে।
বেলজিয়ামে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০৬ জন, মারা গেছেন ৭ হাজার ৮৪৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩০৯ জন।
সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.