হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
উখিয়ার পাশ্ববর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নয় দফায় কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ক্যাম্প থেকে গত সোমবার শেষ দফা পর্যন্ত সর্বমোট ৬৫৮৫ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের উদ্যোগে প্রথম দফায় গত ২১ জানুয়ারি ২৮৩ জনকে হস্তান্তরের মাধ্যমে বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্প রোহিঙ্গা শূন্য করার প্রক্রিয়া সূচনা হয়। তারপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় দফায় ৩৭০ জন তৃতীয় দফায় ৮৯৬ জন চতুর্থ দফায় ৮৬১ জন পঞ্চম দফায় ৮৬৫ জন ষষ্ঠ দফায় ৮৩৭ জন সপ্তম দফায় ৮১১ জন অষ্টম দফায় ৮৩৭ জন নবম দফায় ৮২৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বান্দরবানে এখনো আরো দুইটি আশ্রয় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে। তার মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠ রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে ৭৮ পরিবারের লোকসংখ্যা ৩৬২ জন এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনাপাড়ায় নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারে লোকসংখ্যা প্রায় আট হাজার জন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার কামাল জানান, টানা নয় দিনের চেষ্টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের ৬ হাজার ৫৮৫ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি ও বড়ছনখোলা দুটি আশ্রয় ক্যাম্প রোহিঙ্গাশূণ্য। পর্যায়ক্রমে ঘুমধুম ও দোছড়ি ইউনিয়নের অবশিষ্ট দুইটি আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পের আশপাশে বিজিবির প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে নতুন কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করলে তাদের সরাসরি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.