পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা চলছে। এরই মধ্যে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ হতে শুরু করেছে।
২৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (এনএ) ১১৪টি আসনে এগিয়ে ছিল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
২৫ জুলাই, বুধবার জাতীয় পরিষদের সঙ্গে দেশটির চারটি প্রাদেশিক পরিষদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। আর ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলার মধ্যেই প্রাথমিক ফল দেখে জয়োল্লাস শুরু করে ইমরান খানের দল পিটিআই।
দেশটির ডন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারিভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী ১১৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) এগিয়ে রয়েছে ৬৮টি আসনে। আর বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৩৯টি আসনে।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন। মুত্তাহিদা মজলিশ আমল (এমএমএ) এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) এগিয়ে আছে ৭টি আসনে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। এরমধ্যে সরকার গঠন করতে হলে যে কোনো দলকে ১৩৭টি আসনে জিততে হবে।
এদিকে দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক প্রায় পৌনে চার লাখ নিরাপত্তাকর্মীর মোতায়েন করা হলেও সহিংসতা থেমে ছিল না। কোয়েটায় বোমাহামলায় নিহত হন অন্তত ৩১ জন। বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি ভোটকেন্দ্রে গ্রেনেড হামলায় এক পুলিশও নিহত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় মারামারিও হয়েছে।
সূত্র:ইতি আফরোজ;priyo.com-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.