সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / ফলোআপ: টেকনাফে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের প্রাণ বাঁচাতে মাইকিং

ফলোআপ: টেকনাফে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের প্রাণ বাঁচাতে মাইকিং


গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

টেকনাফের পাহাড় গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং।

এদিকে ৬ জুলাই দৈনিক আজকের কক্সবাজার পত্রিকা, অন-লাইন নিউজ প্রোটাল আমাদের টেকনাফ ডটকম, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম, কক্সভিউ ডটকম, কক্সটিভি ডটকমে “টেকনাফে পাড়ার ধসে প্রাণহানির আশংকা” (রোহিঙ্গাদের ঝুঁকিপুর্ন বসবাস) এই শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর অবশেষে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন অত্র উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করেছে।

জানা যায়, ৭ জুলাই রোববার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে টেকনাফ সদর, পৌরসভা, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ী এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, এখন বর্ষাকাল তার উপর লাগাতার বারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা অত্র উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার জন্য মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তারপরও তারা যদি নিজের ইচ্ছায় সরে না আসে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

টেকনাফ বনবিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, এই উপজেলার আওতাধীন ৩৯ হাজার হেক্টর বনভূমিতে অবৈধভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তার মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে ২৫ হাজার। এই এলাকাগুলো হচ্ছে, টেকনাফ পৌরসভার ফকিরাঘোনা, নাইট্যংপাড়া, ধুমপেরাংঘোনা, বৈদ্যরঘোনা, নাজিরঘোনা, সদর ইউনিয়নের গিলাতলী, শিয়াইল্যারঘোনা, উরুমেরছড়া, কেরুনতলি, বরইতলী, হ্নীলা ইউনিয়নের রোজারঘোনা, জাদিমুরা, উলচামারী, লেচুয়াপ্রাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া, কম্বনিয়াপাড়া, মরিচ্ছ্যাঘোনা, আমতলি, লাতুরিখোলা, হরিখোলা, দৈঘ্যাকাটা, বাহারছড়ার নোয়াখালী, হাজমপাড়া, বাইন্ন্যাপাড়া ও আছারবনিয়া। এই সমস্ত এলাকার প্রায় ২৫টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারন এই পাহাড় গুলোতে বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় হতদরিদ্র জনগোষ্টির পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা প্রাকৃতিক দৃর্শ্যেঘেরা পাহাড়ী গাছপালা কেটে বিলীন করার পর অবৈধ ভাবে বসতি স্থাপন করেছে।

এব্যাপারে টেকনাফ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, টেকনাফ উপজেলার পাহাড় গুলোতে যারা ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। তাদের কোন নিরাপদ নেই। তাই তাদের সকলকে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ ! https://coxview.com/tree-200-years-rafiq-5-2-24-1/

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ !

লামা বন বিভাগের বমু রিজার্ভ ফরেস্টের পুকুরিয়াখোলা এলাকায় অবস্থিত বৃহৎ তেলশুর গাছ দুইটি।   মোহাম্মদ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/