সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / বন্যার পানিতে প্লাবিত ঈদগাঁওর গ্রামীন জনপদ

বন্যার পানিতে প্লাবিত ঈদগাঁওর গ্রামীন জনপদ

এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :

টানা ভারী বর্ষণের পর উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবার ঈদগাঁওর গ্রামীণ জনপদ। এতে গ্রামের সাধারন মানুষরা হাটু পরিমাণ পানি অতিক্রম করে চলাফেরা করে যাচ্ছেন অতি কষ্টের বিনিময়ে।

১৪ই জুলাই সকালে পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর পশ্চিম-মধ্যম ভোমরিয়া ঘোনা, কুলাল পাড়া, চৌধুরী পাড়া প্লাবিত হয়ে পড়ে। হাটু পরিমাণ পানি পেরিয়ে স্থানীয় নর-নারীরা যাতায়াত করে যেতে করে চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে নেই বন্যার পানি রক্ষাবাঁধ।

স্থানীয় যুবক মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীকে বন্যার পানিতে মরণ দশায় ভোগতে হচ্ছে। নেই কোন পানি রক্ষা বাঁধ। অতি সত্তর ঈদগাঁও নদীর তীরবর্তী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার। এছাড়াও পোকখালীর বেঁড়ী বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে। নিন্মাঞ্চল হাটু পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। নারী-পুরুষরা নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে।

দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের পানি যাতায়াতের কোন সুব্যবস্থা না থাকায় ঈদগাঁও বাজারের হাসপাতাল সড়ক, তেলীপাড়া সড়ক ও বাঁশঘাটা সড়ক প্লাবিত হয়। এ সড়ক দিয়ে হাটুপরিমাণ পানি পার হয়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজনকে আসা যাওয়া করছে।

বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে নানা কাজকর্মে বাজারে আসা লোকজন চলাচলে কষ্ট পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত কোন ভাবেই কমছেনা। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে সড়ক জুড়েই কদমাক্ত দুই সমস্যা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

ঈদগাঁওর বালুরচর পাড়ায় খালের পাশ্বর্বতী বহু বসতবাড়ীর উঠানে পানিতে ভরপুর ছিল বলে জানান আয়েশা নামের এক গৃহবধূ। আবার স্থানীয় লোকজন পারাপারের জন্য যে ব্রীজটি রয়েছে সেটি অতীব ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহুর্তে ব্রীজটি ভেঙ্গে বা বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ার আশংকা করেছেন এলাকাবাসী। দ্রুত সংস্কারের দাবী তাদের।

এদিকে মাইজ পাড়া খালের তীরবর্তী ঘরের উঠানে পানিবন্দি। জন দূর্ভোগে লোকজন।

ঈদগাঁও নদীতে পানি বেড়েই চলছে। এই খাল দিয়ে পানি সুষ্ঠুভাবে যাতাযাত করতে না পারায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানালেন সচেতন ব্যক্তিরা। পোকখালী, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী ও ঈদগাঁওতে শত শত একর ফসলী জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেনা। ঈদগাঁও নদীর প্রমত্তা রূপ, পাহাড়ী ঢল নিয়ন্ত্রণে কোন টেকসই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

মেম্বার প্রদীয় পাল মুন্না জানান, মন্ডল পাড়া, কুলাল পাড়া, চৌধুরী পাড়ায় বন্যার পানি প্লাবিত হয়ে বাড়ীঘরে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান।

ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম জানান, মধ্যম এবং পশ্চিম ভোমরিয়াঘোনা নামক এলাকায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই শতাধিক বসতবাড়ী পানিবন্দিতে।

গোমাতলী এলাকার সচেতন যুবক দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, পোকখালী উত্তর গোমাতলী থেকে রাজঘাট পর্যন্ত সড়কটি একেবারেই বিলীন হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। পোকখালীর বেঁড়ীবাধটি চরম ঝুঁকিতে। সংস্কার না করলে যেকোন মুহুর্তে বেঁড়ীবাধ ভেঙ্গে পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

কালিরছড়া বালুরছর পাড়ার যাতায়াত সড়কটি খালে বিলীন হয়ে পড়েছে। খালটি খনন করার দাবী। কেননা এটি খনন করলে খালের পাশ্বর্বর্তী রাস্তা ও দুই পাশের বসতবাড়ী রক্ষা হবে, না হয় মরণ দশায় ভোগতে হবে বলে জানান এলাকার লোকজন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ ! https://coxview.com/tree-200-years-rafiq-5-2-24-1/

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ !

লামা বন বিভাগের বমু রিজার্ভ ফরেস্টের পুকুরিয়াখোলা এলাকায় অবস্থিত বৃহৎ তেলশুর গাছ দুইটি।   মোহাম্মদ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/