ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভারতের কলকাতায় কয়েকদিন আগে একটি সংগীত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস। সেখানেই আনন্দবাজার পত্রিকার মুখোমুখি হন এ গায়ক। কথা বলেন গান ও ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে।
সে সময় তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বাবা তার ক্যারিয়ারের সফলতা দেখে যেতে পারেননি। এ নিয়ে নিজের ভেতরে আক্ষেপ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জীবনটাকে কীভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জেমস বলেন, ‘সত্যি বলতে ঘুরে তাকানোর মতো সময় নেই। আরও অনেক কাজ করতে চাই। তবে হ্যাঁ, কোনোও একটা সময় নিশ্চয়ই এই চলার পথে একবার ঘুরে দেখব জীবনটাকে। যে জার্নিটা করেছি, চলার পথে স্ট্রাগল ফিরে দেখতে চাই। নাইট ক্লাবে গাইতাম, আবার বিয়ের অনুষ্ঠানেও গাইতে হতো। সবই আনন্দের সঙ্গে করতাম।’
তিনি জানান, তার এক মেয়ে ডালাসে থাকে, এক মেয়ে ও ছেলে থাকে ঢাকায়। ছেলের ফিল্ম নির্মাণের আগ্রহ রয়েছে। আর মেয়ে ম্যাট্রিক দেবে।
নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে জেমস বলেন, ‘নতুন গান তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। তবে এখন শো-এর চাপে নতুন গান তৈরির কাজে তেমন একটা সময় দিতে পারছি না। এই বছর বেশ কয়েকটি গান মুক্তি পাবে, অ্যালবাম নয়। এখন আর অ্যালবামের যুগ নেই। মাধ্যমটাই পাল্টে গেছে।’
সিডি থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরের বিষয়টিতে ভালো দিক থাকলেও তার মতে, গানের মজাটা থাকছে না। তবে ভালো গানের কদর সব সময়ই থাকবে বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন সমস্যা হলো—সারা দুনিয়াতেই ভালো গানের অভাব। শিল্পীকে কর্পোরেট ব্যবস্থা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যে, গুণ মানে তার প্রভাব পড়ছে। এখান থেকে বেরোতে না পারলে নতুন সৃষ্টি হবে কীভাবে? শিল্পীকে স্বাধীনতা দিতে হবে। ষাটের দশকে কিন্তু মিউজিক মুঘলরা গানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতেন না।’
বলিউডে ‘ভিগি ভিগি’, ‘রিস্তে’র মতো জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার পরও জেমসকে সেখানে আর সেভাবে পাওয়া যায়নি কেন? জানতে চাইলে জেমস বললেন, ‘পেশাদারভাবে কাজটা করতে হলে আমাকে মুম্বাইয়ে থাকতে হতো। আমার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না।’
তবে নিজের জনপ্রিয় বাংলা গানগুলোকে হিন্দিতে রূপান্তর করার ইচ্ছা আছে বলেও জানান তিনি।
জেমস অবসরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। গান শুনেন। তার প্রিয় শিল্পীর তালিকায় রয়েছে—বব মার্লে, জিম মরিসনের গান। সূত্র:মিঠু হালদার-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.