গত কয়েক সপ্তাহের মাঝে বিশ্ব বাজারে দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল তেলের দাম। কিন্তু এখন আবার তেলের দাম কমা শুরু করেছে দ্রুতগতিতে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউএস ক্রুড অয়েল প্রতি ব্যারেলের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৭৩ ডলারের মতো, তা প্রায় ১০ শতাংশ কমে এ সপ্তাহে হয়েছে ৬৬.৫০ ডলার। গ্লোবাল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৮০ ডলার। এ সপ্তাহে তার দাম ৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৬ ডলার।
তেলের দাম এভাবে কমার পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে। সৌদি আরবের এনার্জি মিনিস্টার খালিদ আল-ফালিহ শুক্রবার রাশিয়ায় এক আলোচনায় জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে তেলের চাহিদা পূরণে রাশিয়া এবং বিশ্বের তেল রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক-এর সঙ্গে আলোচনা করছেন তারা। এ মন্তব্যের পরেই তেলের দাম কমতে শুরু করে।
২০১৭ সালে তেল সরবরাহের ওপরে নিজেরাই একটি সীমা বেধে নিয়েছিলে ওপেকের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। এই সীমা কমানোর বিষয়ে ২২ জুন ভিয়েনায় এক বৈঠকে বসবেন তারা।
আল—ফালিহ বলেন, ’তেল সরবরাহকারী দেশগুলোর লক্ষ্যই হলো তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা, আর তা করতে গিয়ে যদি জুনে আমাদের নীতি পরিবর্তন করতে হয় আমরা তাই করব।’
ফালিহ মন্তব্য করেন, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা থেকে তেল সরবরাহ কমে যাওয়া এবং ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রেষারেষির যে প্রভাব তেল বাজারে পড়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া এবং ওপেক তেল সরবরাহ বাড়িয়ে দিতে পারে।
সোমবার নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের তেল উত্তোলনে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে তেল উত্তোলন ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তেলের উচ্চমূল্য থেকে মুনাফা করার জন্য তারা উত্তোলন বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তেলের দাম কমার কারণে যানবাহনের মালিক এবং চালকদের সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি যেসব কোম্পানি বিপুল পরিমাণে তেল ব্যবহার করে তাদেরও সুবিধা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় তেলের দাম কমলে এয়ারলাইনগুলো বেশি মুনাফা করতে পারে।
এ বছরের শুরুর দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মাঝে। বিশেষজ্ঞরা এ দামকেই উপযুক্ত বলে দাবি করেন।
সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.