সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / মনোনয়ন ফিরে পেতে দুইদিনে ইসিতে ৩১৯ প্রার্থী

মনোনয়ন ফিরে পেতে দুইদিনে ইসিতে ৩১৯ প্রার্থী

নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে দুই দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৩১৯ জন প্রার্থী। প্রথম দিন ৮৪ ও দ্বিতীয় দিনে ২৩৫ জন মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল করেন।

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল শুরু করেন মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। এ দিনে আপিল করের ৮৪ জন।

৪ ডিসেম্বর, আপিলের দ্বিতীয় দিনে আপিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকায় ৬৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৬, খুলনায় ১৮, সিলেটে ১৫, বরিশালে ১২, রাজশাহীতে ২২, রংপুরে ২৮ ও ময়মনসিংহে ১৬ জন।

এক শতাংশ ভোটার না থাকা, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকা, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, ঋণখেলাপি হওয়া, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়সহ বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেওয়া দুলু নাটোর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলে তা অবৈধ করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে এসে রুহুল কুদ্দুস তালুদকার দুলু বলেন, ‘হাজী সেলিম সাহেব ১৩ বছরের জেল নিয়ে যদি নির্বাচন করতে পারেন, পঙ্কজ দেবনাথ আমার সঙ্গে দুদকের মামলায় প্রায় দুই, আড়াই বছর জেলে ছিলেন। দুদকের মামলায় তারও ১২ বছরের জেল আছে। তাহলে পঙ্কজ দেবনাথ, হাজী সেলিম যদি নির্বাচন করতে পারেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ইকবাল হাসান টুকুসহ বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচন করতে পারবেন না?’

বিএনপির এমন অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি সেলিম ও পঙ্কজ দেবনাথ নির্বাচন করতে পারবেন কি না, এর উত্তরে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমার কথা হলো, এসব অভিযোগের প্রশ্নের উত্তর আমি এই মুহূর্তে দিতে পারি না। এই মুহূর্তে আমি এটার জন্য প্রস্তুত না। আমি কেবল দেখতে এসেছি, যারা আপিল করতে আসছেন, তাদের কোনো অভিযোগ আছে কি না। জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।’

দ্বিতীয় দিনে আপিলের কাগজপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে কি না, দেখতে এসে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘আমরা যা কিছু করব, তা আইনত ভাবেই আমাদের করতে হবে। কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব আমরা অবশ্যই দেখাব না। প্রতিটি কেসেরই (আপিল) মেরিট আমরা দেখব। আমি যেটা মনে করি, নির্বাচন কমিশন সব ব্যাপারেই একটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।’

ইসি সূত্রে জানা যায়, রংপুরে ৯১টি, রাজশাহীতে ৯৬, খুলনায় ৯০, বরিশালে ৩৮, ময়মনসিংহে ৬২, ঢাকায় ১৯২টি, সিলেটে ৪৪টি এবং চট্টগ্রামে ১৭৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে এই সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

রংপুরে বৈধ মনোনয়নের সংখ্যা ২৬২টি, রাজশাহীতে ২৫৯টি, খুলনায় ২৬১টি, বরিশালে ১৪৫টি, ময়মনসিংহে ১৬৯টি, ঢাকায় ৫৩৯টি, সিলেটে ১৪০টি এবং চট্টগ্রামে ৫০৪টি।

৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন। এরপর ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানির মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করবে ইসি। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট হবে।

সূত্র:প্রদীপ দাস-priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও উপজেলা নিবার্চন থেকে ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন

নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নানান কল্পনা ঝল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/