মিয়ানমারে সামরিকবাহিনীর হামলায় প্রায় ৩০ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালালে বেসামরিক রোহিঙ্গারা নিহত হন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। তবে সংবাদমাধ্যমটি নিহতের বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি দল বাঁশ সংগ্রহ করার সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দাবি, হেলিকপ্টার আক্রমণে নিহতরা ওই অঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছিল। তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে ওই ঘটনায় ৭ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা এখন বলছেন, এ আক্রমণে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে তারা খবর পেয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তিন মাস আগে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হবার পর এটি সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা।
বর্তমানে রাখাইনে মূলত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই আরাকান যোদ্ধারা জাতিগতভাবে রাখাইন এবং প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
এ বছরের শুরুর দিক থেকে যুদ্ধের কারণে প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত নিধনে অভিযান চালায়। তাতে বহু রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হন এবং অন্তত ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
সূত্র:somoynews.tv-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.