সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পান না নারী বিজ্ঞানীরাও

যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পান না নারী বিজ্ঞানীরাও

ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গতিময় জগতেও নারীরা যৌন হয়রানি থেকে নিরাপদ নন। বিশ্ববিদ্যালয়ে, ল্যাবরেটরিতে, অফিসে, হাসপাতালে সর্বত্রই তারা হয়রানির শিকার। এই হয়রানির কারণে নারী বিজ্ঞানীদের মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত, বিজ্ঞানে তাদের অবদান বাধাগ্রস্ত হয়। এ তথ্য জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায়।

১২ জুন, মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় এই গবেষণা, জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিস অব সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিনের এই গবেষণায় বলা হয়, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও সংস্কৃতি পাল্টালে তবেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

বিগত কয়েক দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং হয়রানির শিকার নারী বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। অনেক বছর ধরে নারী বিজ্ঞানীরা এ সমস্যাটি নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন, কিন্তু তা নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা হলো এই প্রথম।

অবশ্য যে প্রতিষ্ঠানটি এই গবেষণা করেছে, তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধেও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

২০১৫ সালে বার্কেলির ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ ওঠে, তিনি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন। সে সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও গবেষণা কেন্দ্রে যৌন হয়রানির জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ছাঁটাই শুরু হয়। এক্ষেত্রে এই গবেষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ গবেষণায় জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কেভিন সোয়ারটাউট উনিভেরিসিত্য অব টেক্সাস এবং পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেন। দেখা যায়, বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে অধ্যায়নরত নারীদের মাঝে ২০ থেকে ৫০ শতাংশই হয়রানির শিকার। শিক্ষক বা কর্মচারীদের হাতে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন মেডিসিন বিষয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গদের হয়রানি হবার ভয় থাকে বেশি।

এরপর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এ বিষয়ে। এর মাঝে অর্ধেক নারীই বলেন, তাদেরকে শারীরিক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক নারী জানান, যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাদেরকে।

গবেষণায় এটাও দেখা যায়, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো হয়রানির ব্যাপারটাকে তেমন আমলে নেয় না এবং অভিযুক্তদের তেমন কোনো শাস্তিও দেয় না। অনেক সময়ে দেখা যায়, হয়রানির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে অনেক সময় ওই নারীকেই ঝামেলায় পড়তে হয়। এ কারণে অনেকেই ব্যাপারটা চেপে যান।

এ ধরনের হয়রানিতে পড়লে নারীরা অনেক সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছেড়ে অন্য কর্মক্ষেত্রে চলে যান। অনেক সময়ে তিনি এতই বিষাক্ত পরিবেশে মাঝে পড়েন যে বিজ্ঞানে তার অবদান বাধাগ্রস্ত হয়।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এ সমস্যা সমাধানে ১৪টি সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মূলত শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।

সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/06/Missile-Iran.jpg

শব্দের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি দ্রুতগামী ইরানের হাইপারসনিক

‘ফাত্তাহ’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে আইআরএনএ। অনলাইন ডেস্ক : ইরান তাদের প্রথম হাইপারসনিক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/