সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / রোহিঙ্গাদের কারণেই কক্সবাজারে হেপাটাইটিস সি-র ঝুঁকি বেশি

রোহিঙ্গাদের কারণেই কক্সবাজারে হেপাটাইটিস সি-র ঝুঁকি বেশি


হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি বলে মন্তব্য করেছেন লিভার রোগ বিশেষঞ্জ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের সহবকারী অধ্যাপক ডা.আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, দূষিত পানি ও অনিরাপদ খাবারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস-এ এবং ই ভাইরাস ছড়ায়। তবে হেপাটাইটিস-বি, সি এবং বি ভাইরাস ছড়ায় শিরায় মাদক গ্রহণ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ও অনিরাপদ অপারেশন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে কান ফোড়ানো, খতনা, ট্যাঁটু করা, সুচ ও ইনজেকশন, হেমো ডায়ালাইসিস, সংক্রমিত দাঁতের সাজিক্যাল যন্ত্রপাতি, অরক্ষিত যৌনবাস, অন্যজনের সেভিং রেজার, ব্লেড, নেইলকাটার, গর্ভবতী মা থেকে শিশুর মধ্যে। এর মধ্যে বি,সি এবং বি ভাইরাস ছড়ানোর অনেক উপকরণই রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশি।

তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ রোগী বুঝতে পারেন না তারা হেপাটাইটিস ভাইরাস বহন করছেন। অন্য কোনো রোগের সেবা কিংবা রক্তদানের সময় পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস এইডসের চেয়ে ভয়াবহ হলেও হইচই হচ্ছে না। কারণ এটি তৃতীয় বিশ্বের রোগ। উন্নত বিশ্বে হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস বেশি। দেশে প্রতিবছর ২৫ হাজার মানুষ বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বছরে এই রোগের সেবা ব্যয় হয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে হেপাটাইটিসের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। একটি বিদেশি ট্যাবলেট যেখানে বিশ্ববাজারে ১৪-৭০ হাজার টাকা সেটি আমাদের দেশে মাত্র ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ থেকে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি। একমাত্র প্রতিরোধ ছাড়া এ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার উপায় নেই। যাদের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি তারা একেকজন এই ভাইরাসের রিজার্ভার হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং রোগ ছড়াচ্ছেন।

সি ভাইরাসের কার্যকর সেবা আছে। ডাক্তারদের সঠিক সেবায় ৯৫ শতাংশ রোগী সুস্থ থাকেন, আর হয় না। বি ভাইরাসে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। এই ভাইরাস দমিয়ে রাখা যায়, কিন্তু নির্মূল করা যায় না। বি এবং সি ভাইরাসের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক নেই। তবে চর্বি জাতীয় খাবার ও মদ বাদ দিলে ভালো ফল আসবে। সুস্থ বা অসুস্থ সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাঁশি, পানি, খাবার, কাপড়, গোসলখানা, ব্যবহার করলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। এমনকি বাচ্চাকে বেুকের দুধ খাওয়াতেও কিংবা চুমু খেতেও বাধা নেই।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র#https://coxview.com/sarai-hospital-rafiq-14-11-23/

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

বান্দরবানের লামার ‘সরই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’। মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম পার্বত্য ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/