এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
অঝর ধারায় নামছে বৃষ্টি। সে সাথে বজ্রবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া থেমে নেই। বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। পাশাপাশি জেলা সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। ২৩ ও ২৪ এপ্রিল টানা দু’দিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যস্ততম এ বাজারে নেই কোন উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক লোকজন। সকাল-দুপুর কিংবা বিকেলের পরপর ধবধবে সাদা আকাশে মেঘাচ্ছন্ন দেখা দিলেই বৃহত্তর এলাকা তথা ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী, ঈদগড়, বাইশারী, রশিদ নগর, ভারুয়াখালী, খুটাখালীসহ আশপাশ এলাকার লোকজন যে যার যার অবস্থান থেকে বাড়িমুখী হতে দেখা যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই আকাশ থেকে নেমে পড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাত।
সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হওয়া লোকজন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। আবার লবণ উৎপাদিত উপক‚লীয় এলাকা পোকখালী, চৌফলদন্ডী, গোমাতলীর শত শত লবণ মাঠসহ বিভিন্ন ক্ষেত খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়কের সংস্কার কাজও বন্ধ রয়েছে। প্রধান সড়ক জুড়েই পানিতে সয়লাব বললেই চলে। এ বৃষ্টির কারণে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে ঈদগাঁও বাজার ও বাসস্টেশন এলাকার কতিপয় রিক্সা চালকরা যাত্রীদের কাছে চড়াদামে ভাড়া আদায় করছে বলে এমন অভিযোগ বেশ কয়েকজন যাত্রীর।
সামান্যতম বৃষ্টির পানি বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে জমে কর্দমাক্তের সৃষ্টি হয়। সে সাথে সুষ্ঠুভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব পানি যাতায়াত করতে না পারায় বিপাকে পড়ছে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজন। তবে কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, আসন্ন বর্ষার পূর্বে যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমাধান না হয়, তাহলে পুরো বাজারবাসীকে মরণ দশায় ভ‚গতে হবে।
You must be logged in to post a comment.